সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
‘শেখ হাসিনার দীক্ষা মানসম্মত শিক্ষা’ ও ‘রূপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশে উপবৃত্তি সারাদেশে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা এখন থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে বুধবার বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তি স্বাক্ষর স¤পাদিত হয়।
এই স্মারক অনুযায়ী রূপালী ব্যাংক ও টেলিটকের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই অনুযায়ী সরকার রূপালী ব্যাংক শিওর ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সারা দেশের মায়েদের কাছে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দেবে এবং টেলিটক মায়েদের বিনামূল্যে সিম দেবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম উপস্থিত ছিলেন।
রূপালী ব্যাংকের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেবাশীষ চক্রবর্তী এবং টেলিটক বাংলাদেশ লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গিয়াস উদ্দীন আহমেদ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ূন খালিদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো.আবু হেনা মোস্তফা কামাল, শিওর ক্যাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহাদৎ খানসহ দুই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং টেলিটক ও রূপালী ব্যাংকের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শুরুটা করলাম, দেখি কোথায় যাওয়া যায়। আমরা জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে চাই। টেলিটক ‘মায়ের হাসি’ নামে এই কার্যক্রম শুরু করবে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় টেলিটক এবং রূপালী ব্যাংক একত্রিত হয়ে যে সেবা জনগণকে দিচ্ছে, তাতে জনগণ উপকৃত হবে। কাউকে বাড়তি সুবিধা নয়, ন্যায্য সুবিধা দিয়ে সরকারের এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। টেলিটকের এই সিমের মাধ্যমে ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর মা নেটওয়ার্কের আওতায় সংযুক্ত হবেন। এর মাধ্যমে নানা ধরনের অনিয়ম দূর হবে। বাল্যবিয়ে থেকে আমাদের মেয়েরা রক্ষা পাবে এবং সামনে এগিয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘টেলিটকের ২০ লাখ সিম মায়েদের বিনামূল্যে দেওয়া হবে। প্রতি মাসে এ সিমে ২০ টাকা টক টাইম থাকবে।’