সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও দুই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার বিকালে তাদের ধরে আনা হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আটকরা হলেন- পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র রোকনুজ্জামান রানা এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র মেহেদী হাসান তুহিন। এর মধ্যে মেহেদী হাসানকে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন শাবির সহকারি প্রক্টর সামিউল ইসলাম। সে ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের ছাত্র।
অন্যদিকে শাবির পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামান এখনো র্যাবের হাতে আটক রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার জানান, তপোবন আবাসিক এলাকা থেকে র্যাবের পরিচয়ে তাদের আটক করে সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আছে তা বলতে পারেননি এই অধ্যাপক।
জঙ্গি সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে এর আগেও চার শিক্ষার্থীকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ১৮ জুলাই আটক হন ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আব্দুল আজিজ, ২ আগস্ট একই বিভাগের ইফাদ আহমেদ চৌধুরী নাহিদ, ৩ আগস্ট ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের সাবেক ছাত্র মোহাম্মদ জুয়েল আহমদ, ১৮ আগস্ট ক¤িপউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাদমান আবেদীনকে আটক করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা। তবে তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানো হয়নি।
গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর জঙ্গি তৎপরতায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের তথ্য জানা যায়। ওই হামলাকারীদের অন্তত তিন জন দেশ-বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় উগ্রবাদে দীক্ষিত হয়েছিলেন। শুরুর দিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নাম বেশি আসলেও ইদানিং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স¤পৃক্ততার তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে সিলেটের এই বিশেষায়িতক বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ছাত্র আটক হলেন জঙ্গি তৎপরতায় স¤পৃক্ততার অভিযোগে। যদিও এদের কারও বিরুদ্ধে এখনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনেনি পুলিশ।