সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
এখন থেকে ঘরে বসেই দেওয়া যাবে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ। এজন্য চালু হলো ‘ম্যানেজিং ভায়োলেন্স অ্যাগেনেস্ট উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন সিস্টেম’ নামের একটি ওয়েব অ্যাপলিকেশন।
এক্ষেত্রে িি.িাধপিসং.মড়া.নফ ঠিকানায় গিয়ে অভিযোগ করলেই তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে চলে যাবে।
বুধবার ওয়েব অ্যাপলিকেশনটি তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয় একটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে তৈরি করে নিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করেছে।
বাংলাদেশ ক¤িপউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে আয়োজিত ওয়েব অ্যাপলিকেশনটি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহিন আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন, শিশুদের ভালোবাসুন। এদেশে অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাদের বাদ দিয়ে ভিশন ২০৪১ অর্জন সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, দিন পাল্টাচ্ছে। আগে নারীরা মনে করতেন-পুরুষ খাবার দেয়, পড়তে দেয়। তাই একটু নির্যাতন করলে সেটা সহ্য করতে হয়। কিন্তু এখন নারীরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
ওয়েব অ্যাপলিকেশনটির সুবিধা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, এখন থেকে স্মার্টফোনের মাধ্যমেও ওয়েবসাইটটির সুবিধা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা যাবে। এক্ষেত্রে থানায় অভিযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিড়ম্বনার ভয় আর থাকবেনা। এতে কেউ নারী বা শিশু নির্যাতনের অভিযোগ দিলে তা একজন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে যাবে। তিনি পরবর্তীতে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
শুধু তাই নয় এতে ম্যাজিস্ট্রেট, ডিসি, টিএনও, ওসি, উপজেলা ও জেলা নারী মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অ্যাকসেস থাকবে। এছাড়া পাঁচ বা দশ বছর আগের কোনো অভিযোগও এতে সহজেই খুঁজে বের করা যাবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা প্রযুক্তি সুবিধা দিচ্ছি। এখন থেকে নির্যাতনে অভিযোগ দিতে সশরীরে কোনো অফিসে যেতে হবে না। যে কোনো ডিভাইস থেকেই অভিযোগ দেওয়া যাবে। কারো কাছে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে বা কোনো ডিভাইস না থাকলে তিনি ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রে গেলেও অভিযোগ করতে পারবেন।
পলক বলেন, আমরা এরপর ন্যাশনাল হেল্প সেন্টার করবো। যার কোড নম্বর ৯৯৯। এতে পুলিশি সেবা, ফায়ার সার্ভিস ও নারী নির্যাতন বিষয়ক সেবা দেওয়া হবে।