সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমী এবং কৃষ্ণপূজা নিরাপদে ও আনন্দমুখর পরিবেশে উদ্যাপনের লক্ষ্যে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আইজিপি রোববার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আসন্ন জন্মাষ্টমী ও কৃষ্ণপূজা-২০১৬ উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে এ নির্দেশ দেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। বহুকাল ধরে এ দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বিরাজমান। তিনি ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব উদ্যাপনের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। আইজিপি বলেন, অতীতের ন্যায় এবারও দেশব্যাপী জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা এবং কৃষ্ণপূজায় পুলিশ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, যাতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের এ ধর্মীয় উৎসব নিরাপদে উদ্যাপন করতে পারে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (কনফিডেন্সিয়াল) মো. মনিরুজ্জামান আসন্ন জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা এবং কৃষ্ণপূজাকে সামনে রেখে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা স¤পর্কে সভাকে অবহিত করেন।
সভায় জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার রুট নির্ধারণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং কৃষ্ণপূজার আইন-শৃঙ্খলা স¤পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সভায় উপস্থিত হিন্দু ধর্মের নেতৃবৃন্দ তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসবে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তারা আসন্ন জন্মাষ্টমী শোভাযাত্রা এবং কৃষ্ণপূজা উপলক্ষে গৃহীত আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা স¤পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন। নেতৃবৃন্দ সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (এডমিন এন্ড অপারেশন্স) মো. মোখলেসুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহা. আব্দুল জলিল মন্ডল, ডিআইজি (মিডিয়া এন্ড প্ল্যানিং) এ কে এম শহিদুর রহমান, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিগণ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন দিপু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ স¤পাদক অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ডি এন চ্যাটার্জী ও সাধারণ স¤পাদক অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ফিল্ড অফিসার প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।