সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সাইবার ¯েপস ব্যবহার করা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিরোধে যৌথ নজরদারি চালাতে এক সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত এবং নেপাল (বিবিআইএন) সম্মত হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম একথা জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মৌলবাদ বিস্তারে অন্যতম প্লাটফর্ম হচ্ছে অনলাইন। এই সন্ত্রাসবাদ বন্ধে অন্যান্য সেক্টরের মতো এই চারটি দেশ এক সঙ্গে কাজ করবে।
তারানা বলেন, বাংলাদেশ প্রথম এ উদ্যোগ নেয়। বাংলাদেশ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনায় সাইবার ¯েপস ব্যবহার বন্ধে যৌথ নজরদারি করতে প্রথম ভারত ও ভুটানের সঙ্গে আলোচনা করে।
তিনি বলেন, ঢাকা এ বিষয়ে নেপালের সঙ্গেও আলোচনা করবে এবং পরে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে। তারানা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সন্ত্রাসবাদকে বৈশ্বিক হুমকি হিসাবে উল্লেখ করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাইবার অপরাধ ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, যারা অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করছে, তাদের জন্য এটি হলো একটি ম্যাসেজ।
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ভারত সফর করেন এবং পরে ১ থেকে ২ আগস্ট ভুটান সফর করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশী ব্যান্ডউইথ রফতানি এবং টেলিযোগাযোগ সেক্টরে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
সরকারি সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা বিষয়ক এসোসিয়েশন (সার্ক) ভিত্তিক একটি স্যাটেলাইট প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া চলছে। এ জন্য বাংলাদেশ উদ্যোগও নিয়েছে এবং ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ সার্ক স্যাটেলাইট নিয়ে আঞ্চলিক আলোচনায় যোগ দিতে এ মাসের গোড়ার দিকে ভারত সফর করেন। তারানা বলেন, বাংলাদেশ এ বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে। তবে তিনি বলেন, আমাদের অগ্রাধিকার থাকবে আমাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু – ১ নিয়ে। আমাদের নিজস্ব স্যাটেলাইটের কার্যক্রম ব্যাহত হয়, এমন কোন কর্মকান্ডের সাথে আমরা আপোষ করব না।