সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি মালিকানাধীন মোবাইল ফোন কো¤পানি সিটিসেলকে চালু রাখতে বিদেশি বিনিয়োগকারী কো¤পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে অপারেটরটি। রাজস্ব বকেয়া থাকায় সিটিসেল বন্ধে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নীতিগত সিদ্ধান্তের পর বুধবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানায় সিটিসেল কর্তৃপক্ষ।
সিটিসেলের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন্স তাসলিম আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, একটি বিদেশি বিনিয়োগকারী কো¤পানির সঙ্গে সিটিসেলের চুক্তি সই হয়েছে। সেই কো¤পানির অর্থ দিয়ে সরকারের দেনা এবং ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা হবে।
তবে বিদেশি সেই বিনিয়োগকারী কো¤পানির নাম বলেননি তাসলিম আহমেদ। তিনি বলেন, যেহেতু এখনও বিটিআরসিকে নোটিশ করিনি, সে কারণে কো¤পানিটির নাম বলা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার টেলিযোগাযোগ বিভাগ সিটিসেল বন্ধের নীতিগত সিদ্ধান্তের পর আগামী ২৩ আগস্ট পর্যন্ত গ্রাহকদের বিকল্প সেবা গ্রহণের সময় দিয়েছে বিটিআরসি। ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা রাজস্ব বকেয়া থাকায় গত ৩১ জুলাই বিটিআরসি গ্রাহকদের উদ্দেশে এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৬ আগস্টের মধ্যে বিকল্প সেবা গ্রহণের পরামর্শ দেয়। পরে তা আরও সাত দিন বাড়ানো হয়।
সরকারের ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা রাজস্ব বাকি থাকায় বিকল্প সেবা গ্রহণের জন্য গ্রাহকদের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছিলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গত ৩১ জুলাই গ্রাহকদের উদ্দেশে দেওয়া বিটিআরসি’র বিজ্ঞপ্তিতে অপারেটরটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও ঘোষণা দেওয়া হয়।
রাজস্ব বকেয়া এবং পরিশোধে গড়িমসি করায় যেকোনো সময় সিটিসেলের লাইসেন্স ও তরঙ্গ বাতিল এবং অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দেয় বিটিআরসি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, সিটিসেলের বকেয়া বিষয়ে বারবার তাগাদা দিলেও পরিশোধ করা হয়নি। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টেলিযোগাযোগ বিভাগের এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
এদিকে, সিটিসেলের বিরুদ্ধে বকেয়া ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৩৩ হাজার মার্কিন ডলার আদায়ে হাইকোর্টে মামলা করেছে চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক করপোরেশন।
বুধবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের একক বেঞ্চ এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
বিটিআরসির সর্বশেষ জুনের হিসেবে সিটিসেলের গ্রাহক ৭ লাখ ২ হাজার হলেও গত ৩ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি জানায় এ সংখ্যা দেড় থেকে দুই লাখ নেমে এসেছে। অন্যদিকে নিজ কার্যালয়ের সামনে বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।