হাসান বশির ::
ভাটির জনপদ বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাবাসীর জন্য অকাল বন্যাই বার বার কাল হয়ে দাঁড়ায়। তাই অকাল বন্যা মোকাবেলায় নদী-নালা খনন করতে হবে। দুর্যোগ ব্যস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় অধীন উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনারে বক্তাগণ এমন মতামত ব্যক্ত করেছেন।
মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিএম ওয়ালিউল ইসলামের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়শা আক্তার, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন।
সেমিনারে বক্তাগণ আরও বলেন, নদী-নালা ও খালসমূহ পলি মাটি এবং পাহাড় থেকে আসা বালি মাটি দিয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে নদী হারাচ্ছে নাব্যতা, খালসমূহও প্রায় অস্তিত্বহীন। এ ছাড়া কোন কোন নালা একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। পাহাড়ি ছরা, ধোপাজান-চলতি নদী, ধামালিয়া, রূপসা, গন্ডামারা, পুরান যাদুকাটা নদীপথে পানি প্রবাহের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হয়। কোন কোন স্থানে নদীর উপর অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। ¯্রােতধারায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় সরাসরি সবজি ক্ষেত বেয়ে বোরো ফসলি জমিতে ঢলের পানি প্রবেশ করছে। এতে ফসলাদি বিনষ্ট হচ্ছে। একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রান্তিক চাষী, অন্যদিকে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ক্ষেত্রেও বড় রকমের বাধার সৃষ্টি হয়। তাই খাল, নালা ও নদী খনন প্রয়োজন।