স্টাফ রিপোর্টার ::
জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঢুকতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন নেতারা। সিনিয়র থেকে শুরু করে সাবেক ছাত্রনেতারাও এই তালিকায় আছেন। অনেকেই গোপনে আবার কেউ কেউ প্রকাশ্যে গ্রুপ বদল করে পদবিতে আসার চেষ্টা করছেন। পদবিতে আসার দৌড়ে প্রবাসী নেতারাও পিছিয়ে নেই।
আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্রে জানা যায়, এ বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ ১৮ বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্তমুক্ত হয় জেলা আওয়ামী লীগ। সাবেক এমপি মতিউর রহমান সভাপতি পদে ঠিক থাকলেও পরিবর্তন আসে সাধারণ সম্পাদক পদে। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুটের পরিবর্তে সাধারণ সম্পাদক পদে আসেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন। সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশারাফুল ইসলাম দুই সদস্যের জেলা কমিটি ঘোষণা করেন।
প্রায় ৬ মাস পর জেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে আগস্ট ‘শোকের মাস’ হওয়ায় সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের খবরে কয়েক মাস ধরেই সিনিয়র থেকে শুরু করে সাবেক ছাত্রনেতারা (জুনিয়র) রাজপথের সভা-সমাবেশে তৎপর। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দলও। ছয় মাসের মাথায় প্রায় দুই টুকরো হয়ে গেছে জেলা আওয়ামী লীগ। সর্বশেষ জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। দুই গ্রুপই গণজমায়েত দেখিয়ে শো-ডাউনে নামে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি আলোচনায় আছেন জেলা কমিটির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন আহমদ, ছাতক-দোয়ারাবাজারের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি অ্যাডভোকেট শামছুন নাহার বেগম (শাহানা রব্বানী), সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুট, জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুল এবং অ্যাডভোকেট নান্টু রায়।
সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম শামীম, সাবেক প্রচার সম্পাদক হায়দার চৌধুরী লিটন, আমির হোসেন রেজা, কৃষকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুলসহ আরো কয়েকজন আলোচনায় আছেন।
এছাড়া সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক পদ-পদবির দৌড়ে যাঁরা এগিয়ে আছেন তাঁরা হলেন সিনিয়র নেতা অ্যাডভোকেট রইছ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আলী আমজদ, অ্যাডভোকেট সুরেশ দাস, মতিউর রহমান পীর, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম, সুবীর তালুকদার বাপ্টু, সিরাজুর রহমান সিরাজ, মোবারক হোসেন, ইশতিয়াক আহমদ শামীম, অ্যাডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন, ফজলুল হক, ওয়াহিদুর রহমান সুফিয়ান।
সবচেয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ নিয়ে। এই পদে আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রায় এক ডজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। প্রত্যাশিত পদে আসতে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে রাজপথের মিছিল সমাবেশে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদের দৌড়ে আছেন সাবেক এমপি জননেতা আব্দুর জহুরের পুত্র জুনেদ আহমদ, অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, মুক্তাদির আহমদ মুক্তা, শামীম আহমদ চৌধুরী, সাবেক পুলিশ অফিসার শাহরিয়ার বিপ্লব, অ্যাড. মণীষ কান্তি দে মিন্টু, আতিকুল ইসলাম আতিক, অমল চৌধুরী হাবুল, অ্যাড. নূরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল।
এছাড়া দপ্তর সম্পাদক, প্রচার সম্পাদকসহ অন্যান্য সম্পাদকীয় পদের জন্য সাবেক ছাত্রনেতারা চেষ্টা করছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির বলেন, যোগ্যদের নিয়েই জেলা আ.লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম চলছে। আশা করছি আগামী মাস অথবা পরবর্তী মাসে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হতে পারে।