কলেজ শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি বাড়িয়ে তাদের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করা মোটেই সমীচীন নয়। এতে করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশে বিরূপ প্রভাব পড়ে। ব্যাহত হয় স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থা। এমনিতেই লেখাপড়ার স্বাভাবিক খরচ বহন করাই অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে কষ্টসাধ্য। এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিত। কলেজে যারা লেখাপড়া করতে আসে সকলের আর্থিক সঙ্গতি সমান থাকে না, এই বিষয়টিও কলেজ কর্তৃপক্ষের মাথায় রাখতে হবে। এখানে যারা পড়ালেখা করতে আসে সবাই ধনীর দুলাল না। এখানে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নি¤œমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরাও লেখাপড়া করতে আসে। যেখানে লেখাপড়ার স্বাভাবিক খরচ বহন করাই অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে উপরন্তু বাড়তি খরচ বহন করা তাদের সাধ্যের বাইরে চলে যায়। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ ও মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। আর এই মানসিক চাপ ক্ষোভ থেকে বিক্ষোভে পরিণত হয়। শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত করে তোলে। যার ফলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়।
গতকাল দৈনিক সুনামকণ্ঠ পত্রিকায় “সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ : কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর নামে ভর্তি ফি বৃদ্ধি” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদে বলা হয়, কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর ছুতোয় সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির ভর্তি ফি বাড়িয়েছে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং আদায়কৃত টাকার কোনো রশিদ দেয়া হয় না। এর প্রতিবাদে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে স্থগিত হয়ে যায় ভর্তি কার্যক্রম।
আমরা জানি, বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার এবং এই সরকারের দূরদর্শিতায় দেশের বিভিন্ন উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থায়ও যুগান্তকারী উন্নতি সাধিত হয়েছে। আমরা মনে করি, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষও শিক্ষার প্রসারে আন্তরিক। আমরা চাই, সার্বিক দিক বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের কাছ এ অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধ করা হোক।