স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের কৃতী সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মৃদুলকান্তি চক্রবর্ত্তীর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় দৈনিক সুনামকণ্ঠ কার্যালয়ে অধ্যাপক ড. মৃদুলকান্তি চক্রবর্ত্তী’র স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সুনামকণ্ঠ সম্পাদক ও প্রকাশক বিজন সেন রায়।
অনুষ্ঠানে ড. মৃদুল চক্রবর্ত্তীকে যাঁরা কাছ থেকে দেখেছেন তাঁদের স্মৃতিতে উঠে আসে তাঁর জীবনের নানা দিক। ছোটবেলা থেকে ঢাকায় তাঁর কর্মকান্ডের সমস্তকিছুই যেন ছবির মতো উপস্থিত সুধীজনের সামনে ফুটে উঠে।
স্মৃতিচারণে বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, মৃদুল চক্রবর্ত্তী ছিলেন বিশাল হৃদয়ের অধিকারী। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর মৃত্যু জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
হাসনরাজা পরিষদের সভাপতি সামারীন দেওয়ান বলেন, হাসনরাজাকে সবার সামনে তুলে ধরেছিলেন মৃদুল চক্রবর্ত্তী। হাসনরাজাসহ অন্যান্য মরমী কবিদের নিয়ে অনেক কাজ করার ইচ্ছা ছিল তাঁর। কিন্তু অকাল প্রয়াণে সেগুলো অসমাপ্তই থেকে গেল।
জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি অ্যাডভোকেট এনাম আহমেদ বলেন, মৃদুল চক্রবর্ত্তীকে নিয়ে একটি আড্ডার আয়োজন করা হয়েছিল। সেসময় আমরা যারা তাঁকে কাছ থেকে দেখিনি, খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম। হয়তো তাঁর মাধ্যমেই আমরা সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারতাম। দেরি হলেও মৃদুল চক্রবর্ত্তীর স্মৃতি সংসদের মাধ্যমে তাঁকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ধরে রাখার প্রয়াস আমরা নিতে পারি।
মৃদুল চক্রবর্ত্তীর বাল্যবন্ধু অরুণ দে বলেন, ছোটবেলা থেকে তাঁর সাথে বড় হয়েছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁকে দেখেছি। একই সহজ সরল ব্যবহার। বন্ধুদের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক ছিল মৃদুল। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে হবে।
স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. খায়রুল কবির রুমেন, সুজনের নির্বাহী পরিচালক নির্মল ভট্টাচার্য্য, অ্যাডভোকেট মলয় চক্রবর্ত্তী রাজু, মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের সহকারি পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির, যুব মহিলা লীগ নেত্রী সেলিনা বেগম, সৃষ্টি আবৃত্তি’র সভাপতি সামিনা চৌধুরী মনি, রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন প্রমুখ।