সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করার পর দলের মধ্যে দেখা দিয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। আর এর কারণ হিসেবে বিএনপির অনেক নেতারাই বলছেন, যোগ্য ব্যক্তিদের কমিটিতে না রাখায় এমনটা হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খশরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমি মনে করি, এটা একটা সাময়িক ব্যাপার। যারা কমিটিতে পদ পাননি তাদের মনে কষ্ট আছে, আর এমন দুঃখ কষ্টের কারণে হয়তো এই ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ বলেন, নেত্রী যাদেরকে পদ-পদবী দিয়েছেন, তাদেরকে প্রমাণ করতে হবে, যে তারাই এই পদের যোগ্য। তাহলেই বলা যাবে কমিটি যথাযোগ্য হয়েছে। বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তরকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে তারা এসব কথা বলেন। বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান বলেন, এটা নিয়ে হতাশা, ক্ষোভ, বিক্ষোভ থাকতে পারে। তবে এটি আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। বিএনপি ৬ষ্ঠ কাউন্সিল ঘোষণা করার আগে দলটির মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর বলেন, এই নতুন কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে সারা বাংলাদেশে বিএনপি আবার জেগে উঠবে ইনশাআল্লাহ।
কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। বরং উজ্জীবিত হওয়ার পরিবর্তে বেড়েছে ক্ষোভ, আর ঐক্যের বদলে কোন্দল। বিএনপি নতুন কমিটি ঘোষণার পর কেউ কেউ পদত্যাগ করেছেন, আবর কেউবা চেয়েছেন অব্যাহতি। এছাড়া গুঞ্জন হচ্ছে যে আরো কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা পদত্যাগ করতে পারেন। দলবেঁধে রাজনীতি ছাড়তে পারেন বিএনপির একটি গ্রুপ, এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে মিডিয়াগুলোতে।
আর এমন বিভক্তি নিয়ে কিভাবে এগুবে বিএনপি, কি হবে সরকারবিরোধী আন্দোলনের? এমন প্রশ্নে আযম খান বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের জন্য এই মুহূর্তে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃতে আমাদের এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকে অনেকেই সভা সেমিনারে অংশগ্রহণ করছেন না। এমনকি যারা নিয়মিত গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে আসতেন তারা এখন অনিয়মিত। তবে কমিটি ঘোষণার পর থেকে বর্তমান পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা। তাদের দাবি খুব শিগগিরই কেটে যাবে এই মান-অভিমান।