ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রীর (১৩) বিয়ের প্রাক্ অনুষ্ঠান (মঙ্গলাচরণ) গতকাল রোববার বিকেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে ওই ছাত্রীটি বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে। এর আগে গত শনিবার রাতে একই ইউনিয়নের পার্শ¦বর্তী আরেকটি গ্রামেও অষ্টম শ্রেণিতে পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণিতে পড়–য়া এক ছাত্রীর (১৩) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বাউসাই গ্রামের এক যুবক (২৫)-এর সঙ্গে রোববার বিকেলে মঙ্গলাচরণ (বিয়ের প্রাক আনুষ্ঠানিকতা) সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ বাল্যবিয়ের আয়োজনের খবরটি জানতে পারেন ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাজমুল হক। পরে তিনি এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। ইউপি চেয়ারম্যান ওইদিন বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ওই ছাত্রীটির বাড়িতে যান এবং বিয়ের আয়োজন দেখতে পান। পরে তিনি বাল্যবিয়ের কুফল ও আইনে এসব বিয়ের কোনো স্বীকৃতি নেই, এটি অপরাধ পুরো বিষয়টি ওই ছাত্রীটির বাবা-মাকে বুঝিয়ে বলার পর তাঁরা এ বাল্যবিয়ের (মঙ্গলাচরণ) অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন।
ওই ছাত্রীটির বাবা বলেন, ১৮বছর না অইলে আমার মাইয়ারে বিয়া দিতাম হারতাম না এইডা আমার জানা আছিইন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, এ উপজেলায় বাল্যবিয়ের ব্যাপারে কয়েকজন সাংবাদিক কঠোর অবস্থানে থাকায় ও উপজেলা প্রশাসনকে এ নিয়ে সার্বিক সহায়তা করায় এ উপজেলায় একাধিক বাল্য বিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।