সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
চ্যালেঞ্জ থাকলেও ২০১৮ সালে প্রাথমিক স্তর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে এর কোনো বিকল্প নেই। ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিত উন্নতীকরণ বিষয়ক অবহিতকরণ ও করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার রাজধানীর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব মো. হুমায়ুন খালিদ। সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চাইলে এক নোটিশের মাধ্যমে করতে পারতাম। কিন্তু তা না করে একটু সময় নিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। ৫ বছরের শিক্ষা নিয়ে পরিপূর্ণ প্রাথমিক শিক্ষা হয় না। এটা নড়বড়ে হয়। অষ্টম শ্রেণির একটা সার্টিফিকেট থাকলেও পিয়ন হওয়া যায়। আমাদের জীবনমান বাড়ানোর জন্য আমরা এটা করছি। আমাদেরকে আরো আপগ্রেড হতে হবে। দেশের জন্য সমাজের জন্য। আমাদের ইভালুয়েশন দুর্বল মনিটরিং ব্যবস্থা নিতে হবে।
হুমায়ুন খালিদ বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করা এটা আমাদের দীর্ঘমেয়াদী তাগিদ। এটি একটি চ্যালেঞ্জও।”
কর্মশালায় জানানো হয়, প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বৃদ্ধি করে আট বছর অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে প্রাথমিক শিক্ষায় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার নতুন কার্যক্রম, পাঠ্যপুস্তক এবং শিক্ষক নির্দেশিকা প্রণয়ন করা, প্রাথমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষকের জন্য শিক্ষাক্রম বিস্তারসহ শিখন-শেখানো কার্যক্রমের ওপর ফলপ্রসূ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয় পুনর্বিন্যাস করা। প্রাথমিক শিক্ষার এই পুনর্বিন্যাসের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ের সকল বিদ্যালয়ের ভৌত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ানো হবে। যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে আট বছরব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন ২০১৮ এর মধ্যে ছেলেমেয়ে, আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং জাতিসত্তা নির্বিশেষে পর্যায়ক্রমে সারা দেশের সকল শিশুর জন্য নিশ্চিত করা হবে।