ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলায় স্থানীয় কয়েকজন তরুণের প্রচেষ্টায় বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী (১৩)। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বন্ধ করে দেওয়া হয় এই বাল্যবিয়ের আয়োজন।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়–য়া ওই ছাত্রীর (১৩) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক যুবকের (২৮) এর গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে বিয়ের কথা ছিল। কনের বাড়িতে চলছিল বিয়ের নানা প্রস্তুতি। স্থানীয় কয়েকজন তরুণ এ বাল্যবিয়ের খবরটি সাংবাদিকদেরকে মুঠোফোনে জানান। পরে এই খবরটি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারেন ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাজমুল হক। ইউএনও এই বাল্যবিয়ের খবর জানতে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ইউপি চেয়ারম্যান ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে এ বাল্যবিয়ের সত্যতা পাওয়া গেলে এটি বন্ধ করার জন্য বলেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই ইউপি সদস্য সরেজমিনে ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ে আয়োজনের সত্যতা পান এবং ছাত্রীর বাবা-মাকে বুঝিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন।
ছাত্রীটির মা সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের বয়সের লাইগ্যা সরহারি আইন আছে এইডা আমি জানতাম না। এইডা নাকি বেআইনি অয়। তাই মেম্বার সাবের কথায় এই বিয়া বন্ধ কইর্যা দিছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ বাল্যবিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সহায়তায় এ বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।