রাজন চন্দ ::
তাহিরপুরে ৬০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদশূন্য। সেই সাথে মাড়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে এক সহকারি শিক্ষক দিয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলায় ৭ ইউনিয়নে ১৩৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকের পদ রয়েছে ৫৮৪টি। তার মধ্যে কর্মরত রয়েছেন প্রধান শিক্ষক ৭১ জন এবং সহকারি শিক্ষক ৫১৬ জন। দু’টি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ নেই। ১৩১টি প্রধান শিক্ষকের পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৭১জন। অবশিষ্ট ৬০টি প্রধান শিক্ষকের পদ ও ৬৮টি সহকারি শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরেই শূন্য রয়েছে।
অপরদিকে, মাড়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন সহকারি শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে অফিস ও পাঠদান কার্যক্রম একাই চালিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘ দু’বছর ধরে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের পদগুলো শূন্য থাকায় দিন দিন তাহিরপুর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার মান নি¤œমুখী হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সচেতন ব্যক্তিবর্গ।
মাড়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার সরকার জানান, তিনি ২০১৪ সাল থেকে একাই বিদ্যালয়টি চালাচ্ছেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১৫৪ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তিনি আরো জানান, তিনি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাবেন না অফিসিয়াল কাজ করবেন এ নিয়ে সবসময় দু’টানায় থাকেন।
মাড়ালা গ্রামের বাসিন্দা ও মাড়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বিভিন্ন সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন করেছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
মধ্য তাহিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক স্বপন কুমার রায় বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সৃষ্ট পদে সকল শিক্ষক থাকলেও ৯.৩০ থেকে বিকেল ৪.০০ পর্যন্ত পাঠদান দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। যে সকল স্কুলে শিক্ষকের পদশূন্য রয়েছে তাদের পাঠদান কার্যক্রম করাটাই কঠিন হয়ে পড়ে।
তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী জাহান জানান, শিক্ষক নিয়োগকালে হাওরাঞ্চলের স্কুলগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলেও পরবর্তীতে শিক্ষকরা বদলি হয়ে নিজের সুবিধামত স্থানে চলে যান। ফলে হাওরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে এ সমস্যা থেকেই যায়।