স্টাফ রিপোর্টার ::
দোয়ারাবাজারে সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় ৫জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হচ্ছেন মৃত হৃদয় রাম বৈদ্য’র পুত্র উপেন্দ্র বৈদ্য (৯৫), উপেন্দ্র বৈদ্য’র পুত্র মনিন্দ্র বৈদ্য (৪৩), হরেন্দ্র বৈদ্য (৩৮), মৃত রাজেন্দ্র বৈদ্য’র পুত্র বারিন্দ্র বৈদ্য (৪৫) এবং বারিন্দ্র বৈদ্য’র স্ত্রী বীণা রানী বৈদ্য (৩৫)। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের আফসরনগর গ্রামে ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে উপেন্দ্র বৈদ্য’র বাড়ি পার্শ¦বর্তী তাঁর রেকর্ডিয় ভূমি জবরদখল করতে যান একই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র শরীফ উদ্দিন গং। এ সময় উপেন্দ্র বৈদ্য’র লোকেরা বাধা দিলে প্রভাবশালী শরীফ উদ্দিন গং লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে ৫জন গুরুতর আহত হন। আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার বিকেলে নেতৃবৃন্দ আহতদের দেখতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে যান এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমল বণিক, জেলা জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. গৌরাঙ্গপদ দাস, দেবব্রত দাস, শুভব্রত বসু, স্বপন দাস, সন্তোষ রায়, অ্যাড. অরূপ দে, অ্যাড. তনয় চক্রবর্তী প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ এ হামলার জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
অপরদিকে, সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, দোয়ারা উপজেলা শাখার সভাপতি সোনাধন চন্দ্র দে, সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ সিকদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।