ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
টানা কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ধর্মপাশা উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় এখানকার ১০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ গত শনিবার থেকে পানিবন্দি রয়েছেন। এছাড়াও উপজেলার ১৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের ভিটে বরাবর পানি অবস্থান করছে। এর মধ্যে ১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত শনিবার থেকে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এতে করে এখানকার শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে পাইকুরাটি, সুখাইড় রাজাপুর উত্তর, সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ, বংশীকুন্ডা দক্ষিণ, জয়শ্রী, চামরদানি, মধ্যনগর, ধর্মপাশা ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ গত শনিবার থেকে বন্যার পানিতে পানিবন্দি রয়েছেন। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ৭৮৫টি মাছ চাষ করা পুকুরের মধ্যে ১০০টি পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কে পানি উঠে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যার পানিতে এসব দরিদ্র পরিবারের মানুষদের সহায়তায় জন্য জেলা প্রশাসন থেকে পাঁচ মেট্রিক টন জিআর চাল ও ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বরাদ্দ পাওয়া চাল এ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে পাইকুরাটি, ধর্মপাশা, জয়শ্রী, সুখাইড় রাজাপুর উত্তর, সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ, মধ্যনগর, চামরদানি ও বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রোকেয়া আক্তার খাতুন বলেন, বন্যার পানি দিন দিন বাড়ছে। এ উপজেলার ১৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮১টি বিদ্যালয়ের ১৩ সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে ১২ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ও দাপ্তরিক কক্ষের ভেতরে হাঁটু পানি থাকায় নিরুপায় হয়ে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলার ১০০টি পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, এ উপজেলার নি¤œাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। এখানকার দরিদ্র মানুষজনদের সাহায্যের জন্য সরকারিভাবে পাঁচ মেট্রিক টন জিআর চাল ও দশ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।