সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীরবিক্রম) বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে প্রতি জেলায় ত্রাণ গুদাম নির্মাণ করা হবে। নতুন আশ্রয়কেন্দ্র হবে ২২০টি।
২১টি জেলাকে ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী জানান, বন্যার কারণে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদের যতদিন প্রয়োজন; খাদ্য সহায়তা দেবে সরকার।
বুধবার সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ত্রাণ, খাদ্য ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কার্যঅধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মায়া।
দুর্যোগ মন্ত্রী বলেন, বন্যায় নয়টি জেলার মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। তাদের জানমাল রক্ষায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যেসব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তা ডিসিদের জানিয়েছি। ‘আমাদের হাতে খাদ্যের কোনো অভাব নেই, সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী- একজনও যেন না খেয়ে মারা না যায়, কারো যেন কষ্ট না থাকে। এজন্য যা যা করা দরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সেসব নিশ্চিত করা হবে বলেও জানিয়েছেন এ মন্ত্রী।
ত্রাণমন্ত্রী জানান, বন্যায় নয়টি জেলার জন্য তিন ধাপে ১০ হাজার মেট্রিকটন চাল ও পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চার হাজার টন চাল ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে। ডিসি ও সংসদ সদস্যদের চাহিদা অনুযায়ী প্রত্যেক জেলায় ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।
বন্যায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই জানিয়ে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশবাসীকে অনুরোধ করব বাংলাদেশ বন্যা-খরার দেশ, বৃষ্টি-বাদলার দিন এলে মাস দুয়েক পানির চাপ থাকে। সেটা মোকাবেলার আগাম প্রস্তুতি সরকারের আছে।