সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের ওপর শুনানির জন্য এক মাস সময় পেলেন মীর কাসেম। এই শুনানির জন্য দুই মাস সময় চেয়ে রোববার আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবীরা।
সোমবার মীর কাসেমের রিভিউ শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে রোববারের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এর উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমান।
সময় আবেদনের উপর শুনানি শেষে আদালত রিভিউ শুনানির জন্য ২৪ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
মীর কাসেমের পক্ষে শুনানির আবেদন করেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
মীর কাসেমের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতের কাছে প্রস্তুতির জন্য দুই মাস সময় চান। অন্যদিকে সময় চেয়ে করা আবেদনের বিরোধিতা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ২৪ আগস্ট দিন ঠিক করে আদেশ দেন।
পরে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রস্তুতির জন্য আমরা দুই মাস সময় চেয়েছিলাম। আদালত এক মাস দিয়েছেন। ২৪ আগস্ট শুনানির তারিখ দিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, আমি প্রথমে বৃহ¯পতিবার শুনানির আর্জি জানিয়েছিলাম, পরে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে শুনানির দিন নির্ধারণের জন্য আর্জি জানিয়ে চরম বিরোধিতা করার পরেও আদালত ২৪ আগস্ট দিন ঠিক করেছেন।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের আনা আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকি গত ২১ জুন শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছিলেন। গত ১৯ জুন আপিল বিভাগের দেয়া ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন মীর কাসেম আলী। ওই আবেদনে ১৪টি আইনগত যুক্তি তুলে ধরে তাকে বেকসুর খালাস দেয়ার আবেদন জানানো হয়।
জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে দেয়া আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ৬ জুন প্রকাশ করা হয়।