বিশেষ প্রতিনিধি ::
টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ পৌর শহরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার শতাধিক কিলোমিটার পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর ও সুনামগঞ্জ সদরে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক। শহরতলির ধারারগাঁও-নবীনগর সড়কের একটি অংশ ঢলের পানির তোড়ে ভেঙে জেলা শহরের সঙ্গে চারটি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বন্ধ হয়ে গেছে এই সড়কে যান চলাচল। সুরমার উত্তরপাড়ের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না। ভাঙা জায়গাটুকু সাধারণ মানুষকে নৌকায় করে পার হতে হচ্ছে।
ধারারগাঁও এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম মুবিন বলেন, ঢলের পানিতে প্রতি বছর সড়কটি ভেঙে যায়। আর প্রতি বছরই আমাদেরকে এই ভোগান্তি পোহাতে হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ স্থায়ী সমাধানের কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নবীনগর এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল বলেন, সুরমা নদীতে বেড়ি বাঁধ না দিলে প্রতি বছর নবীনগরের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বেড়িবাঁধ না হলে রাস্তাটি উঁচুকরণের উদ্যোগ নিতে হবে।
এদিকে এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। একই সাথে বন্যায় নিমজ্জিত হয়ে গেছে এসব এলাকার অধিকাংশ রাস্তাঘাট। ভারি বর্ষণ ও বন্যায় নিমজ্জিত হওয়ায় এসব রাস্তাঘাটগুলো ভেঙে গেছে এবং বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
গৌরারং ইউনিয়নের বড়ঘাট এলাকার আইজুল ইসলাম বলেন, পানি আসাতে রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রনজিত চৌধুরী রাজন বলেন, পানি কমলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। বন্যায় রাস্তা-ঘাটের ক্ষতি হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেল জানান, বন্যার হাত থেকে শহরকে রক্ষা করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ। নবীনগর এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা, উঁচু সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা আছে পৌর কর্তৃপক্ষের।
জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে রাস্তা মেরামতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বিভিন্ন দপ্তরকে।