স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরির বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ের অভিযোগে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল রোববার দুপুরে গোবিন্দপুর গ্রামবাসীর পক্ষে জুয়েল মিয়া নামক এক ব্যক্তি এই অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি আজ সোমবার জরুরি সভা আহ্বান করেছে বলে জানা গেছে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, দুই বছর আগে গোবিন্দপুর গ্রামের নাজমুল হক বিদ্যালয়ে দফতরি হিসেবে নিয়োগ পান। গত ৯ মার্চ গোপনে পার্শ্ববর্তী তাজপুর গ্রামের জয়কলস উজানীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী (গোবিন্দপুর সরকারি বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণিতে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী)-কে বিয়ে করেন। বিয়ে করতে গিয়ে তিনি বিদ্যালয়ের তথ্য গোপন করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম সনদ নেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগকারী জুয়েল মিয়া লিখিত অভিযোগের সঙ্গে কাবিননামার ফটোকপি, ২০১৪ সনে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ছাত্রীর প্রবেশপত্রের ফটোকপি, ২০১৪ সনে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকার কপি, সমাপনী পরীক্ষার নম্বরফর্দ এবং ভুয়া জন্মসনদের ফটোকপি যুক্ত করে দিয়েছেন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করে সরকারি বিধিভঙ্গ করায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইকবাল আহমেদ বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের দফতরি গোপনে বাল্যবিয়ে করার বিষয়টি আমরা জানতাম না। লিখিত অভিযোগের বিষয়টি জানতে পেরে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে আজ (সোমবার) জরুরি সভা ডেকেছি। সভায় তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সরকার যখন বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করার সংগ্রাম করছে তখন সরকারের এক কর্মচারীর বাল্যবিয়ে করাটা অনুচিতই নয়, ধৃষ্টতাও।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. হযরত আলী বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে আমি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছি। সরকারি বিধি ভঙ্গ করায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।