সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
আইনকানুন করেও দেশে দুর্নীতি কমানো যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও-এ ‘বৈষম্য ও দারিদ্র্য নিরসনে বাজেট ও অন্যান্য নীতি-কাঠামোর ভূমিকা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
‘দুর্নীতি কমাতে সব ক্ষেত্রে অনলাইনে লেনদেন চালুর’ ওপর গুরুত্বারোপ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ১২ লাখ লোক কর প্রদান করেন। আগামী দুই বছরে করদাতার সংখ্যা ২০ লাখে উন্নীত করা হবে। এটা উচ্চাভিলাষী মনে হতে পারে। কিন্তু আমাদের এটা করতে হবে। কারণ রাজস্ব আহরণ না করা উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ বাড়ানো সম্ভব হবে না।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আমাদের এখানে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ চার্জ রাখা হয়। এটা ২ শতাংশের ওপরে হওয়া উচিত নয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশের দারিদ্র্যের যে কাঠামো রয়েছে, সেই কাঠামোই দারিদ্র্য নিরসনের প্রথম সমস্যা। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ধনী থেকে দরিদ্র হয়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যার সমাধানের উদ্যোগের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকা মানুষকেও দারিদ্র্যের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূর করতে হলে খাদ্য অধিকার আইন ও ইন্টারনেট প্রাপ্তির অধিকার আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে।
সাবেক মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-স¤পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং মানবাধিকার-স¤পর্কিত সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের (এপিপিজি) চেয়ারপারসন ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ফখরুল ইসলামসহ সরকারদলীয় এমপি ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন এপিপিজিএসের সেক্রেটারি জেনারেল শিশির শীল।
দেশের বৈষম্য ও দারিদ্র্য নিরসনে বাজেটে গ্রাম ও শহরের মানুষের মধ্যেকার বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি রংপুর অঞ্চলে শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক ড. বিনায়ক সেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।