বিশেষ প্রতিনিধি ::
সারাদেশেই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। মিটিং মিছিলে রাজপথ সরগরম করে তোলছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু সুনামগঞ্জে এর ব্যতিক্রম। মূল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো দায়সারাভাবে কর্মসূচি পালন করেছে। ঘোষিত হয়নি উপজেলা পর্যায়ে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটিও গঠন হয়নি। এনিয়ে শীর্ষ নেতাদের রোশানলের ভয়ে সাধারণ নেতাকর্মীরা মুখ খুলতে নারাজ।
ঢাকার বনানী ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর দেশব্যাপী জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী নানা কার্যক্রম হাতে নেয় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল। সে মোতাবেক দেশব্যাপী ১৪ দল নানা কর্মসূচি পালন করছে প্রতিদিন। কিন্তু সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন ও অন্যান্য ছোট ছোট দলগুলো দায়সারাভাবে কর্মসূচি পালন করছে। জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যেগে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে সমাবেশের আয়োজন করে। এত জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রাজধানী ঢাকা থেকে এসে সমাবেশে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তারা আবার ঢাকায় চলে যান। যুবলীগও একই দিন কর্মসূচি পালন করে। এসব কর্মসূচিতে সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা অংশ নেন। আলাদাভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। সরকারের শরিক অন্য দলগুলোতে তেমন সক্রিয় দেখা যায় নি।
রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিন জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে মিছিল, সমাবেশ হচ্ছে আওয়ামী লীগসহ নানা সংগঠনের উদ্যেগে। এখন পর্যন্ত সুনামগঞ্জে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে কর্মসূচি ঘোষণা হয়নি। জেলা নেতাদেরও উপজেলা পর্যায়ে কোন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটিও গঠন হয়নি।
তবে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা বলেন, কর্মসূচি গ্রহণ না করলে আমরা কিভাবে সাধারণ মানুষকে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাব। নেতাদের উচিত এই সময়ে সক্রিয় হয়ে মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নেতাকর্মীদেরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান সাথে যোগযোগ করা হলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।