বিশেষ প্রতিনিধি ::
কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগেই জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে এমন খবরে সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। কমিটিতে স্থান পেতে নানাভাবে জেলার কমিটির শীর্ষ দুই নেতার কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কয়েকটি সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য জোর চেষ্টা করছেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলা আ.লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সাবেক এমপি মতিউর রহমানকে সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আংশিক কমিটি ঘোষণার পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার প্রহর গুনছেন নেতারা। মূল কমিটিতে আসতে জোর লবিং শুরু করেছেন এসব নেতা।
এবার মূল কমিটিতে ঢুকতে আ.লীগ নেতাদের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারাও আছেন। যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন।
জেলা কৃষকলীগের সভাপতি সুবীর তালুকদার বাপ্টু দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সংগঠনের পদ ছেড়ে মূল সংগঠনে চলে যাবেন বলে শোনা যাচ্ছে। জেলা কৃষকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল আছেন আলোচনায়। তিনি জেলা আ.লীগের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি মতিউর রহমান ও ব্যারিস্টার ইমনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।
জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সিরাজুর রহমান সিরাজ সংগঠনের পুড় খাওয়া নেতা হিসেবে পরিচিত। বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামের রাজপথে অগ্রভাগে ছিলেন। তিনিও গুরুত্বপূর্ণ পদের দাবিদার।
জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হকও আওয়ামী লীগের কমিটিতে আসতে পারেন। জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল করিমও গুরুত্বপূর্ণ পদের দাবিদার।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন ফারুক, অ্যাডভোকেট সামছুল আবেদীনও কমিটিতে থাকবেন আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়া কিছুদিন আগে বিলুপ্ত হওয়া জেলা যুবলীগের অনেক নেতাই আওয়ামী লীগের কমিটিতে আসতে পারেন বলে জানা গেছে। নেতাদের মধ্যে আছেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি অ্যাড. মণীষ কান্তি দে মিন্টু, জিএস আতিকুল ইসলাম আতিক, অমল কান্তি চৌধুরী হাবুল, নাসিরুল হক আফিন্দী, চঞ্চল কুমার লোহ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল, হাসান মাহমুদ সাদী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য শাহিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম, গোলাম সাবেরীন সাবু, অ্যাডভোকেট আবুল আজাদ রুমান, অ্যাডভোকেট সায়াদ, শাহরিয়ার কবির সায়েম, পৌর কাউন্সিলর ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হোসেন আহমদ রাসেল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সেলিম আহমদ, পৌর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন নাহিদও কমিটিতে স্থান পাবার আলোচনায় আছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির বলেন, যোগ্যদের নিয়েই জেলা আ.লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম চলছে।