স্টাফ রিপোর্টার ::
দেশব্যাপী ‘অশান্তি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস সম্পর্কে সতর্কীকরণ’ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলার মসজিদগুলোতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঘোষিত খুতবা পাঠ হয়নি। বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে এ বিষয়ে নির্ধারিত বিশেষ খুতবা পড়ার বিষয়ে অনুরোধপত্র প্রচার করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। জানা গেছে, সুনামগঞ্জের বেশিরভাগ মসজিদ এ অনুরোধে সাড়া না দিয়ে প্রচলিত নিয়মেই খুতবা পড়িয়েছেন ইমামগণ। তাছাড়া যারা ওই বিশেষ খুতবা পড়াননি তারা জানিয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পাঠানো খুতবা তারা পাননি।
সুনামগঞ্জ ইমাম-মোয়াজ্জিন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রদত্ত বিশেষ খুতবা তারা হাতে পাননি। তাই প্রচলিত খুতবাই পাঠ করেছেন। তবে তাদের অনেকেই খুতবার আগে বয়ানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৩১০০ মসজিদ রয়েছে। এর মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন মসজিদের সংখ্যা ১৮৪০। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭৫১টি কেন্দ্রের মাধ্যমে মসজিদগুলোতে বিশেষ খুতবা পাঠিয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। তবে ইমাম মোয়াজ্জিন পরিষদের সংশ্লিষ্টরা এই খুতবা পাননি বলে জানিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ তেঘরিয়া পীরমহল্লা মসজিদের ইমাম ও ইমাম-মুয়াজ্জিন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাওলানা আব্দুল হক বলেন, আমি কোন বিশেষ খুতবা হাতে পাইনি। তাই সবসময় যে খুতবা আমরা পাঠ করে সেই খুতবাই পড়েছি। তবে খুতবার আগে বয়ানে আমি জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছি।
সুনামগঞ্জ ইমাম মোয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের পরিষদের আওতাধীন কোন মসজিদের ইমাম সাহেবগণই বিশেষ খুতবা হাতে পাননি। তারা অনেকেই আমার কাছে ফোন করে এই খুতবার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। এ বিষয়ে আমাদের পরিষদের অনেকেই না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে আমরা কোন সদুত্তর দিতে পারিনি। তবে খুতবাপূর্ব আলোচনায় আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছি।
একটি সূত্র জানিয়েছে সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও থানা মসজিদসহ কয়েকটি মসজিদেই এই খুতবা পাঠ হয়েছে। এমনকি এসব মসজিদের ইমামগণও খুতবাপূর্ব বক্তব্যে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। তবে বেশিরভাগ মসজিদই সরকারের ওই বিশেষ খুতবা পাঠ থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
সুনামগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারি পরিচালক মো. মঞ্জুরুল আলম মজুমদার বলেন, আমরা সকল মসজিদেই আমাদের কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে খুতবা পৌঁছিয়েছি। অনেক ইমামই আমাদের জানিয়েছেন তারা ওই বিশেষ খুতবা পাঠ করেছেন। তবে বিশেষ এই খুতবাপাঠ সরকার বাধ্যতামূলক করেনি।