সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
শনিবার সারাদেশে পালিত হবে জাতীয় ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যা¤েপইন। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে। এবার ২ কোটি শিশুকে এই ভিটামিন খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহ¯পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক এই কর্মসূচির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ থেকে অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব নির্মূল ও শিশুমৃত্যু প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যা¤েপইন পালিত হবে। সেদিন সারাদেশে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি শিশুদের একটি করে নীল রঙের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি জানান, শিশুদের ভরা পেটে ভিটামিন-এ ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভেতরে থাকা তরল ওষুধ খাওয়াতে হবে। এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্র থাকবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থাকবে। ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে বসানো হবে। এ ছাড়া দুর্গম এলাকার ১২ জেলার ৪৬ উপজেলায় আরো চার দিন কেন্দ্র খোলা থাকবে। যারা বাদ পড়বে তাদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ভিটামিন-এ প্লাস ক্যা¤েপইন পর্যালোচনার জন্য প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হবে।
মন্ত্রী জানান, ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পর এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না। এগুলো ডেনমার্ক থেকে আনা হয়েছে। এটি স্বাস্থ্যসম্মত ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পরীক্ষিত ও অনুমোদিত। এটি নিয়ে কোনো রকমের আশঙ্কা নেই। এ ভিটামিন শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকবে বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা ছিলেন।