মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী ::
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার অধিকাংশই রাস্তাগুলোই খানাখন্দকে ভরা। ফলে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উপজেলাবাসী। উপজেলার অধিকাংশ পাকা সড়কের অবস্থাও বেহাল। দীর্ঘদিন ধরে সড়কগুলোর সংস্কারকাজ না করায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান সড়ক দোয়ারা সদর-বাংলাবাজার, বাঁশতলা-হকনগর বাজার, মহব্বতপুর-বোগলাবাজার, মহব্বতপুর-লক্ষ্মীপুর, কাটাখালিবাজার-আমবাড়ি, বালিউড়া-নরসিংপুর, নোয়ারাই-বাংলাবাজার সড়কসহ সব কটি পাকা রাস্তার অবস্থা বেহাল। দোয়ারাবাজার-বাংলাবাজার (ব্রিটিশ) সড়কটিও দীর্ঘ দেড় যুগেও সংস্কার হয়নি। জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে নিজস্ব তহবিল থেকে এক বছর আগে মাত্র কয়েক কিলোমিটার গর্ত ভরাটের উদ্যোগ নেয় উপজেলা পরিষদ। ওই সড়কে ২১ লাখ টাকায় কয়েক কিলোমিটার সড়ক আরসিসির ঢালাইয়ের পরিবর্তে সিসি ঢালাইয়ের জোড়াতালির দায়সারা কাজ শেষ করা হয়। তবে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে ফের ভেঙ্গে চুড়ে সড়কটি আরো বেহাল অবস্থায় পৌঁছেছে। মেরামত কাজের আওতা বহির্ভূত ওই সড়কের ফকিরেরপুল নামে খ্যাত সরোব্রিজ দুইদিক ও কালিউড়ি নদীর ব্রিজের দুই তীর ভেঙে বড় ফাঁটলের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আরো তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সড়কটি। কয়েক দফা দু’টি ব্রিজে দায়সারা মেরামত কাজ করার কারণে ইতোমধ্যে দু’দিকের মাটি সরে গেছে। মাত্র কয়দিনে ফের ভাঙন ও ফাঁটল ধরে পূর্বের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ফিরে গেছে।
সুরমা ইউনিয়নের গিরিশনগর ভায়া মহব্বতপুর-বোগলাবাজার সড়কটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বড় বড় গর্তের কারণে বৃষ্টির পানি জমা পড়ায় যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। যে কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
জানা গেছে, খানাখন্দকের কারণে মাত্র ২০ মিনিটের রাস্তা থেমে থেমে পাড়ি দিতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ক্ষতবিক্ষত সড়কগুলোতে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক জনের প্রাণহানী হয়েছে। এ অভিশপ্ত সড়কে চলাচলের কারণে ভারী যানবাহনসহ মোটরসাইকেল ও ৩ চাকার গাড়ি প্রতিনিয়ত ওয়ার্কশপে লাইন ধরে মেরামত করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে রাস্তাঘাটের বেহালাবস্থার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গাড়ির মালিক-চালকরা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কগুলোর করুন অবস্থার কারণে এখন যাত্রীরা আর গাড়িতে উঠতে চায়না। প্রয়োজনীয় কাজে মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে যাতায়াতই এখন নিরাপদ চলাচল বলে মনে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক জানান, উপজেলার রাস্তাঘাটগুলো সংস্কারের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বলেছি।