বিশেষ প্রতিনিধি ::
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যানেলভুক্ত প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষক নিয়োগ পাননি। সদ্য জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয় সমূহে শূন্যপদ না থাকায় তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাদের নিয়োগের ব্যাপারে এখনো স্পষ্ট কোন নির্দেশনা দেয়নি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত শনিবার থেকে জেলার ৪৩২টি শূন্যপদের বিপরীতে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে যোগদান শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ জেলায় প্যানেলভুক্ত শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় সাত শত। এর মধ্যে ৪৩২টি পদে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ৪৩২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নতুন জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়গুলোতে শূন্যপদ না থাকায় বাকিদের নিয়োগের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। তারা কবে নিয়োগ পাবেন এটা স্পষ্ট করে বলতে পারছেনা কেউ। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন পদ সৃষ্টি করা হলে তাদের নিয়োগ পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে সদ্য জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের মধ্যে সদর উপজেলায় ১০, ধর্মপাশা উপজেলায় ৮৩, তাহিরপুরে ৭২টি, দোয়ারাবাজারে ২৯, বিশ্বম্ভরপুরে ১৯, ছাতকে ২৯, জামালগঞ্জে ৪৩, শাল্লায় ৪৪, দিরাইয়ে ৪৩, জগন্নাথপুরে ৪২ এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ২১টি পদ খালি রয়েছে। সহকারি শিক্ষকের এসব শূন্যপদে ঈদের আগেই মেধানুসারে নিয়োগপত্র ইস্যু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এর মধ্যে অধিকাংশই যোগদান করেছেন। অনেকে যোগদান করেননি। যারা যোগদান করবেনা নির্ধারিত সময় শেষে অপেক্ষমান থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে সূত্র জানায়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. হযরত আলী বলেন, ঈদের আগেই প্যানেলভুক্ত ৪৩২ শিক্ষকের নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়েছে। তাদের অনেকেই যোগদান করেছেন। যারা নির্ধারিত সময়ে যোগদান করবেনা তাদের পদে অপেক্ষমানদের নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে শূন্য পদ না থাকায় জেলার প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া যায়নি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা পেলে এবং পদ সৃষ্টি করা হলে তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।