1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

তারাবির ফজিলত

  • আপডেট সময় শনিবার, ২ জুলাই, ২০১৬

মুফতি আব্দুল হক আহমদী ::
রমজান মাস রহমত বরকত ও মাগফিরাতের মাস। এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগী করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা বড়ই সহজ। অধিকন্তু এ মাসে শয়তান শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকে। তাই ইবাদত বন্দেগীতে একাগ্রতা ও খুশু খুযু সৃষ্টি করা সহজ। বিশেষত উম্মতে মুহাম্মদীর উপর আল্লাহ তায়ালার বড় নিয়ামত যে, তিনি রমজানের দিনে রোজাকে ফরজ করেছেন আর তার রাসুলের (স.) জবানে কিয়ামে রমজান নামে তারাবির মতো বরকতময় ইবাদত দান করেছেন। যে ইবাদতের মাধ্যমে এ উম্মত রমজান মাসের বরকত ও ফজিলতের পাশাপাশি আল্লাহ তালায়ার নৈকট্য ও জান্নাত হাসিল করতে পারবে। তারাবির ফজিলত সম্পর্কিত কিছু হাদিস নি¤েœ উল্লেখ করা হলো।
যে ব্যক্তি রমজান মাসে পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে সওয়াবের আশায় রমজানের কিয়াম (রাতের নামাজ, বিশেষভাবে তারাবির নামাজ আদায়) করবে আল্লাহ তায়ালা তার পিছনের সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন। সহীহ বুখারী ১/২৬৯
অন্য হাদীসে তারাবির ফজিলত এভাবে বর্ণিত হয়েছে- আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর রমজানের রোজা ফরজ করেছেন এবং আমি (আল্লাহ তায়ালার হুকুমে) রমজানের কিয়াম (রাতের নামাজ বিশেষভাবে তারাবিহ)-এর বিধান জারি করেছি। সুতরাং যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে সওয়াবের উদ্দেশ্যে রমজানের রোজা রাখবে ও রাতের নামাজ (তারাবিহ) পড়বে সে জাবতীয় গুনাহ থেকে নবজাত শিশুর মতো পবিত্র হয়ে যাবে। সুনানে নাসয়ী ১/২৩৯
অন্য এক হাদীসে আছে, জনৈক ব্যক্তি নবী করীম (স.)-কে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল আমি যদি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং আপনি আল্লাহর রাসুল এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি যাকাত আদায় করি এবং রমজান মাসের রোজা রাখি এবং রমজানের কিয়াম (তারাবিহ) আদায় করি তাহলে আমি কাদের অন্তর্ভুক্ত হব?
ইরশাদ করলেন, তুমি সিদ্দীক ও শহীদদের অন্তর্ভুক্ত হবে। সহীহ ইবনে হিব্বান ৮/২২৩-২২৪
এই মাগফিরাত ও রহমতের আশায় এবং ফজিলত ও বরকতের উদ্দেশ্যেই আল্লাহ তায়ালার মুমিন বান্দাগণ রমজানের রাতে নামাজ ও অন্যান্য নফল ইবাদাতের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তাহাজ্জুদ যা পুরো বছরের রাতের ইবাদত ছিল এ মাসে এর প্রতি আরো বেশি যতœবান হন। যেন কিয়ামুল লায়লের পূর্ণ ফজিলত পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা সকলকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
(চলবে)

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com