সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
র্যাব গঠনের পর ‘ক্রসফায়ার’ আলোচনায় উঠে এলেও এ ক্ষেত্রে পুলিশ তাদের চেয়ে এগিয়ে গেছে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
সংগঠনটি বলছে, গত ছয় মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘ক্রসফায়ার’ ও ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছেন ৭৯ জন। এর মধ্যে র্যাবের ক্রসফায়ারে ২৪ জন, পুলিশের ক্রসফায়ারে ৩০ জন ও নির্যাতনে ৫ জন, ডিবি পুলিশের ক্রসফায়ারে ৭ জন ও নির্যাতনে ১ জন, বিজিবির গুলিতে ২ জন ও পুলিশের গুলিতে ৫ জন মারা গেছেন। এছাড়া থানা হাজতে অসুস্থ হয়ে ৪ জন ও রহস্যজনভাবে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছয়মাসে কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৪২ জন। এর মধ্যে কয়েদি ১৪ জন ও হাজতি ২৮ জন।
আসক জানায়, গত ছয় মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকে ৫০ জনকে ধরে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ছয় জনের লাশ পাওয়া গেছে। ২ জন ফেরত এসেছেন। পরে চারজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো আটকের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শিশুদের হত্যা ও নির্যাতনের সংখ্যাও আশঙ্কাজনক বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আসক। গত ছয় মাসে ৫৯১ শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৫ জন শিশু হত্যার শিকার হয়েছে। এছাড়া ১৫ জন শিশু নির্যাতনের পর আত্মহত্যা করেছে।
ছয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় ১৪২ জন নিহত ও ৯০৮৫ জন আহত হয়েছেন। রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন আরও ১২ জন। গণপিটুনিতে মারা গেছেন ৩১ জন।
সীমান্তে বিএসএফএর গুলিতে ১২ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ১৭ জন। অপহরণের শিকার হয়েছেন আরও ১৮ জন। অপহরণের পর বিজিবির মধ্যস্থতায় ফিরে এসেছেন ১৭ জন।
এছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, সাংবাদিক হয়রানি, ধর্ষণ ও পারিবারিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন বিষয়ের সংখ্যাগত হিসাবও দিয়েছে আসক।