মুফতি আব্দুল হক আহমদী ::
* অজু ছাড়া অন্য সময় রোজাদারের জন্য কুলি করা নাকে পানি দেওয়া মাকরূহ নয়। রদ্দুল মুহতার ২/৪১৯
* শরীর শীতল করার জন্য গোসল করা মাকরূহ নয়। রদ্দুল মুহতার ২/৪১৯ ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৯
* রোজা অবস্থায় প্রয়োজনে জিহ্বা দ্বারা কোন কিছুর স্বাদ নেওয়া বা প্রয়োজনে বাচ্চাদের খাদ্য চিবানো মাকরূহ নয়। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন খাবারের স্বাদ গলায় চলে না যায়। রদ্দুল মুহতার ২/৪১৬
* রোজাদারের জন্য সুরমা লাগানো বা সুগন্ধি ব্যবহার করা মাকরূহ নয়। বাদায়েউসসানায়ে ২/২৬৮
* রোজা অবস্থায় টুথ পাউডার ইত্যাদি ছাড়া কাঁচা ডাল দ্বারা মিসওয়াক করা মাকরূহ নয়। এতে রোজার কোন ক্ষতিও হয় না; বরং অন্য সময়ের মতো রোজা অবস্থাতেও মিসওয়াক করা সুন্নত। রদ্দুল মুহতার ২/৪১৯ হযরত আমের ইবনে রাবীয়া বলেন, আমি নবী করীম (স.) কে রোজা অবস্থায় অসংখ্যবার মিসওয়াক করতে দেখেছি। সহীহ বুখারী ১/২৫৯
* রোজা অবস্থায় বিকেলে এমনকি ইফতারের পূর্বেও মিসওয়াক করা মাকরূহ নয়। বরং অন্য সময়ের মতো সুন্নত। মারাকিল ফালাহ ৩৭২
* গাছের কাঁচা ডাল কিংবা পানিতে ভেজানো ডালের স্বাদ মুখে অনুভূত হলেও তা দ্বারা মিসওয়াক করা মাকরূহ নয়; বরং জায়েজ। তবে স্বাদ যেন গলায় না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। মারাকিল ফালাহ ৩৭২-৩৭৩
* স্বপ্নদোষের কারণে রোজা ভাঙে না। জামে তিরমিযী : ৭১৯ রদ্দুল মুহতার ২/৩৯৫
* চোখের দু’এক ফোটা পানি মুখে চলে গেলে রোজার ক্ষতি হয় না। আলমুহীতুল-বুরহানী ৩/৩৪৯ ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৩
* মাথায় বা শরীরে তৈল ব্যবহারে রোজার ক্ষতি হয় না। মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৪/৩১৩
* রতি-ক্রিয়া ছাড়া শুধু কল্পনার কারণে শুক্রক্ষরণ হলে রোজা ভঙ্গ হয় না। তবে রোজা অবস্থায় কুচিন্তা অবশ্যই গর্হিত কাজ। ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪
* কাম সহকারে কোন মহিলার দিকে দৃষ্টিপাত করার ফলে কোনো ক্রিয়া ছাড়াই বীর্যপাত হলে রোজা ভাঙবে না। তবে রোজা অবস্থায় স্ত্রীর দিকেও এমন দৃষ্টিতে তাকানো অনুচিত। মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/২৫৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪ আর অপাত্রে কুদৃষ্টি তো কবীরা গুনাহ, যা রোজা অবস্থায় আরো ভয়াবহ গুনাহ। এটা রোজার ফজিলত ও বরকত থেকে বঞ্চিত করে দেয়। -আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৫১
* সাহরীর সময় পান খেলে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। যাতে পান-সুপারির কোনো অংশ মুখে না থাকে এরপরও থুথুতে লালচে ভাব থাকলে কোন ক্ষতি নেই। এর কারণে রোজা ভাঙবে না। ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/২০৩
* সুস্থ অবস্থায় রোজার নিয়ত করার পর যদি অজ্ঞান, অচেতন কিংবা পাগল হয়ে যায় তাহলে রোজা নষ্ট হবে না। আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৬৮; আলমাবসূত ৩/৮৮