স্টাফ রিপোর্টার ::
‘কেউ বলে উন্নয়নের রূপকার, কেউ বলে নান্দনিক সুনামগঞ্জ, আবার কেউ বলে শান্তির জন্য, পরিবর্তন কিন্তু বিদ্যুতের কথা কেউ বলে না।’
রোববার রাতে শহরের আরপিননগরের বাসিন্দা ওয়াসিম বখ্ত ফেসবুকে উপর্যুক্ত স্ট্যাটাস দেন। শুধু ওয়াসিম বখ্ত নন শহরের সাধারণ মানুষ বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।
গত কিছুদিন ধরে লাগাতার ইফতার, সেহরির, তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং অব্যাহত আছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা। প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তাঁরা। বিদ্যুৎ না থাকায় পানির জন্য সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
এছাড়া বিদ্যুৎ না থাকায় পোশাক ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপাকে। বিকিকিনিও তাদের কমে গেছে। বিদ্যুৎ অফিসে সরকারি মোবাইল নাম্বার ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকার কথা থাকলেও বেশিরভাগ সময় নম্বরটি ‘ব্যস্ত’ পাওয়া যায়। ফোন ধরলেও সাধারণ গ্রাহকদের কোন সদুত্তর দিতে পারে বিদ্যুৎ বিভাগ।
শহরের হাছননগর এলাকার খাদেজা বেগম বলেন, তাপদাহে জন-জীবন এমনিতেই অতিষ্ঠ, তার মধ্যে কিছু সময় পর বিদ্যুৎ চলে যায়। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে গরমের মধ্যে খুব সমস্যায় আছি।
ওয়েজখালি এলাকার আরব আলী বলেন, পেপার-পত্রিকায় দেখি দেশ বিদ্যুতে ভেসে যাচ্ছে, কিন্তু সুনামগঞ্জের অবস্থা বেহাল। দেখার কেউ নেই, সবাই আছে টাকা রুজির ধান্দায় আর গলাবাজিতে। ন্যূনতম লজ্জাবোধ থাকলে নেতাদের এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া উচিত।
আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, এখন রমজানের শেষ সময়। প্রচুর গ্রাহক আসছেন কেনাকাটা করতে। কিন্তু বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জে বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে ৮ মেগাওয়াট ও সর্বোচ্চ ৯ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে গড়ে সরবরাহ হচ্ছে গড়ে ১০ মেগাওয়াট। কিন্তু তার পরও দিনে ৫-৬ বার লোডশেডিং হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, জরাজীর্ণ লাইনের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় আমাদের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। নতুন লাইনের কাজ শুরু হলে ভোগান্তি কমবে।