মাহমুদুর রহমান তারেক ::
শহরে জমে উঠেছে শিশুদের পোশাকের কেনাকাটা। ঈদ ঘনিয়ে আসায় শিশুদের পোষাক কিনতে বিপণি বিতানে ছুটছেন অভিভাবকরা। সন্তানদের খুশিমত পোশাক কিনে দিতে পেরে অভিভাবকরা খুশি।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শহরের ছোটদের পোশাকের দোকানগুলো সেজেছে বাহারি বর্ণিল সাজে। আর পোশাকগুলোর নামও রাখা হয়েছে বিভিন্ন ভারতীয় সিনেমা এবং নায়ক-নায়িকাদের নামে। পোশাকের আকর্ষণ বাড়াতে এসব নাম দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
অভিভাবকরা জানান, পরিবারের শিশুদের দিয়েই তাদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। শিশুদের পছন্দমত কেনাকাটা করছেন তারা।
শহরের মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অভিভাবকদের সাথে ছোটদের বেশ আনাগোনা। মোক্তারপাড়া রোডের লন্ডন প্লাজায় দুই বছর বয়সী আহনাফ আহমদকে নিয়ে এসেছেন তার মা ও বাবা। তারা ছেলের জন্য দুটি পোশাক কিনতে এলেও কিনেছেন মাত্র এক সেট। যার জন্য গুনতে হয়েছে দেড় হাজার টাকা।
তারা জানান, শিশুদের পোশাকের দাম বেশি, রঙচঙ পোশাক শিশুদের পছন্দ আর সেই সুযোগ নিচ্ছে দোকানিরা। ইচ্ছামত দাম হাঁকছে তারা।
শিশুদের পছন্দকে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। আবার এই পছন্দের গুরুত্ব দিতে গিয়ে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে বলে জানালেন তাহমিনা খাতুন নামের আর এক অভিভাবক। তাঁর বক্তব্য, আমার ১০ বছর বয়সী ছেলে একটি জিনসের প্যান্ট ও একটি গেঞ্জি পছন্দ করেছে। দোকানি তার দাম চেয়েছে ১৮শত টাকা। এই পোশাক সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা হলে ভালো হয়। যেহেতু ছেলের পছন্দ তাই পরে ১২০০ টাকা দিয়ে পোশাক দুটো কিনলাম।
শহরের লন্ডন প্লাজার বেবি নেস্ট, কিডস কালেকশন প্লাস, নেজা প্লাজার কিডস স্টাইলে শিশুদের পোশাক বিক্রি হয়। এছাড়া নেজা প্লাজার রিনা ফ্যাশন এবার শিশুদের ভালো পোশাক বাজারে এনেছে।
নেজা প্লাজায় কিডস স্টাইলের আমিনুল ইসলাম সানি বলেন, তাদের দোকানে সর্বনি¤œ ১৮০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫শত টাকা মূল্যের শিশুদের পোশাক তারা বিক্রি করছেন। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, বিকিকিনি তত বাড়ছে।
লন্ডন প্লাজার ২য় তলার বেবি নেস্ট’র স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার নতুন দোকান খুলেছি। মানসম্মত পোশাক থাকায় ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমাদের এখানে ২৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকার মধ্যে শিশুদের পোশাক বিক্রি করছি।
রিনা ফ্যাশনের আব্দুর রব খোকা বলেন, শিশুদের পোশাকের মধ্যে মেয়েদের লং ফ্রক, লেহেঙ্গা, শাহারা, বজ্রমালা এবং ছেলেদের পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবি, গেঞ্জি, ফুল প্যান্ট, হাফ শার্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে।