সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
নারী মাদকাসক্তদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ ইয়াবা সেবন করেন। যাদের বেশির ভাগই পারিবারিক কলহ ও বন্ধুদের প্ররোচণায় নেশায় আসক্ত হন। এদিকে পুরুষ মাদকাসক্তদের মধ্যে ৪১ শতাংশ ইয়াবা সেবী। এদের বেশি ভাগ নিজের আগ্রহ ও বন্ধুদের প্ররোচনায় মাদকসেবন করেন।
শনিবার ঢাকা আহছানিয়া মিশন প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানাগেছে।
প্রতিবেদনটি মিশনে চিকিৎসা নিতে আসা ১০৩ জন নারী ও ২৬৩ জন পুরুষ মাদকসক্তের উপর জরিপ চালিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থাপন করেন মিশনের উপ-পরিচালক ইকবাল মাসুদ।
জরিপটি বলছে, নারী মাদকাসক্তদের মধ্যে পারিবারিক কলহের কারণে ৩৭ শতাংশ, বন্ধুদের প্ররোচনায় ৩৩শতাংশ মাদকগ্রহণ শুরু করেন। অবশিষ্ট ৩০ শতাংশ নানা কারণে মাদকাসক্ত হন।
এদের মধ্যে বিবাহপূর্ব যৌন স¤পর্কীয় অভিজ্ঞতা রয়েছে ২৯ শতাংশের এবং একাধিক যৌন সঙ্গী আছে ২৩ শতাংশ নারী মাদকাসক্তের।
অন্যদিকে পুরুষ মাদকাসক্তদের মধ্যে ৪১ শতাংশ ইয়াবা ও ৩৮ শতাংশ গাঁজা সেবন করেন। এছাড়া ৭ শতাংশ হেরোইন, ৫ শতাংশ ইনজেকশন ও বাকিরা অন্য মাদক সেবন করেন। এদের মধ্যে নিজ আগ্রহে ৪২ শতাংশ, বন্ধুদের প্ররোচনায় ৩৭ শতাংশ মাদক গ্রহণ শুরু করেন। অবশিষ্টরা পারিবারিক কলহসহ অন্য কারণে মাদকসক্ত হন।
পুরুষ মাদক সেবনকারীদের মধ্যে বিবাহের আগে যৌন স¤পর্কীয় অভিজ্ঞতা নিয়েছেন ৫৩ শতাংশ, একাধিক যৌন সঙ্গী রয়েছে ৩৩ শতাংশের। এদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কখনো না কখনো গ্রেফতার হয়েছেন।
বৈঠকে বক্তব্য রাখেন- মনোচিকিৎসক আক্তার উজ্জামান সেলিম, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট মো. আব্দুল আওয়াল, মো. আমির সাজু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মাদকাসক্তদের বিরাট একটা অংশ পারিবারিক কলহের কারণে এবং বন্ধুদের প্ররোচনায় মাদকগ্রহণ শুরু করে। তাই মাদকাসক্তের পরিবারকেই প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা, অনেক বিষয় থাকে, যখন কারো কাছে শেয়ার করতে পারে না এবং চাপমুক্ত থাকার জন্যই অনেকে সেলফ মেডিকেশন হিসেবে মাদক গ্রহন করেন। আর এটা একটা রোগ। ভাল হলেও আবার ফিরে আসতে পারো। তাই পরিবার ও কাছের মানুষের সহায়তা পেলে যে কোনো মদকাসক্ত সুস্থ জীবন পেতে পারে।
বৈঠকটি দাতা সংস্থা জিআইজেড’র সহায়তায় ঢাকা আহছানিয়া মিশন আয়োজন করে।