সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
প্রাথমিকে বৃত্তি নিয়ে সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি সরকার। তবে বৃত্তি দেয়ার জন্য পঞ্চম শ্রেণিতে বার্ষিক পরীক্ষার বদলে মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়ার একটি প্রস্তাব দিয়েছে প্রাথমিক অধিদফতর। আগামী সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হবে। মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা করা হয়েছে। শিক্ষানীতিতেই বলা আছে, প্রাথমিক অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হলেও পঞ্চম শ্রেণি শেষে বৃত্তি থাকবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৫ সালে প্রাথমিকে বৃত্তিপ্রাপ্তদের সংখ্যা ছিল ৫৫ হাজার। চলতি বছর থেকে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮২ হাজার ৫০০।
মূল্যায়ন পরীক্ষার মাধ্যমেও বৃত্তির এ সংখ্যা ঠিক রাখা হবে। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে তিন জন ছাত্র ও তিন জন ছাত্রীকে সাধারণ ক্যাটাগরিতে বৃত্তি দেয়া হবে। আর ট্যালেন্টপুলের বৃত্তি নির্ধারিত হবে উপজেলার পরীক্ষার্থীর সংখ্যার হিসাবে। এ ক্যাটাগরিতে বৃত্তির সংখ্যা ৩৩ হাজার। তবে যে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাবে, তাকে আর সাধারণ বৃত্তির হিসাবে আনা হবে না।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. হুমায়ুন খালিদ বলেন, ‘পিইসি বাতিলে সোমবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রস্তাব পাঠানো হবে। এ পরীক্ষা উঠে গেলে কীভাবে বৃত্তি দেয়া হবে, তা নিয়েও আমরা আরেকটি প্রস্তাব পাঠাচ্ছি। ক্যাবিনেট পিইসি পরীক্ষার ভালো-মন্দ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে শিক্ষানীতিতেই থানা, উপজেলা বা পৌরসভায় অভিন্ন প্রশ্নে একটি মূল্যায়ন পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। সেই পরীক্ষার মাধ্যমেই আমরা বৃত্তি দিতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে প্রতিবছর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচন করতাম পিইসি পরীক্ষার মাধ্যমেই। এখন সেটা উঠে গেলে আমাদের মূল্যায়নের তো একটা ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেটাই হবে উপজেলাওয়ারি অভিন্ন প্রশ্নে মূল্যায়ন পরীক্ষা। তবে এটা কোনোভাবেই পাবলিক পরীক্ষা নয়।’