স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের দুই উপজেলার পৃথক স্থানে বজ্রপাতে স্কুলছাত্র, নারী ও বৃদ্ধসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সুনামগঞ্জে খালিক মিয়া (৬৫), সদর উপজেলায় ফখরুল ইসলাম (১১) ও খায়রুন নেছা (১৪) মারা যান। বজ্রাঘাতে নিহতদের কয়েকজন নিকটাত্মীয় আহত হয়েছেন।
বজ্রাঘাতে নিহত ফখরুল ইসলাম সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। খায়রুন নেছা সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের উমেদশ্রী গ্রমের আবিদ আলীর মেয়ে। বজ্রপাতে নিহত খায়রুন নেছার বাবা আবিদ আলীও আহত হয়েছেন। তাছাড়া দক্ষিণ সুনামগঞ্জের আসামপুর গ্রামে নিহত খালিক মিয়ার ছেলে লায়েক মিয়াও (১৮) আহত হয়েছেন।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রামের অন্য শিশুদের সাথে শাখাইতি গ্রামের দক্ষিণের হাওরে মাছ ধরতে যায় ফখরুল ইসলাম। এসময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই ফখরুলের মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে তার স্বজনরা লাশ উদ্ধার করেন। বিকেলে গ্রামের কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।
এদিকে একই উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের উমেদশ্রী গ্রামের আবিদ আলীর মেয়ে খায়রুন নেছা বাড়ির উঠোনে পায়চারি করার সময় বজ্রপাতে মারা যান। এসময় তার বাবা আবিদ আলীও আহত হন।
অন্যদিকে একই সময়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের আসামপুর গ্রামের খালেক মিয়া (৬০) হাওরে মাছ ধরার সময় গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খালিক মিয়া। বজ্রাঘাতে ছেলে লায়েক মিয়াও আহত হন।
জয়কলস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ মিয়া, কাঠইর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শামছুল ইসলাম এবং গৌরারং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফুল মিয়া বজ্রাঘাতে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।