সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
দেশের প্রতিটি উপজেলায় খেলার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এর ফলে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মিত হবে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্যে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
দেশে খেলার মান বৃদ্ধি ও নতুন নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টি ও গ্রাম পর্যায় থেকে ক্রীড়া পরিদফতরের মাধ্যমে ডেভেলপমেন্ট কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এর ফলে গ্রাম পর্যায় থেকে বিভিন্ন খেলোয়াড় উঠে আসছে। সংসদ নেতা বলেন, ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে সরকার বিশেষ সহায়তার আওতায় ৩১টি খেলার ইভেন্টে তৃণমূল পর্যায় হতে বাছাইকৃত প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনার জন্যে ১৫ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। খেলার মাঠ উন্নয়ন ও সংস্কার কাজে ৪৪ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে যশোর-৩ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের খেলার মান বৃদ্ধি ও নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষ্যে গ্রাম পর্যায় থেকে খেলোয়াড় অনুসন্ধান করার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ক্রীড়া পরিদফতরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় জেলা ক্রীড়া অফিসের মাধ্যমে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে ক্রীড়ার বিষয়ে মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সংসদ নেতা বলেন, মিনি স্টেডিয়াম নির্মিত হলে তৃণমূল পর্যায়ে প্রশিক্ষিত ও সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় তৈরি হবে। ক্রীড়ার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে নিয়মিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপি কর্তৃক দেশের খেলার মান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এবং নতুন নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষ্যে গ্রাম পর্যায় থেকে অনুসন্ধানের মাধ্যমে খেলোয়াড় বের করার জন্যে ‘তৃণমূল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ করে নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিকেএসপির ক্রীড়া সুবিধাবলীর আধুনিকায়ন এবং অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্পটি ১৯৯৯ সাল হতে অব্যাহত রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ৭ হাজার ৫০০ জন খেলোয়াড়কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।