সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
দিরাইয়ে পৃথক সংঘর্ষে দু’জন গুলি বিদ্ধসহ অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ১৯ জনকে দিরাই ও জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সিলেটে ভর্তিকৃত আহতরা হলেন- মাতারগাঁও গ্রামের এলাইছ মিয়া, সঞ্জব আলী, আনসার মিয়া ও সফি আলম। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ এলাইছ মিয়া ও সুজন মিয়া এবং টেটাবিদ্ধ শফি আলমের আবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা।
বুধবার দুপুরের দিকে শিরনি খাওয়া নিয়ে উপজেলার জগদল ইউনিয়নের মাতারগাঁও গ্রামের এলাইছ মিয়া ও নুরুল হকের মধ্যে এবং শিশুর ঝগড়া নিয়ে রফিনগর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের ইউপি সদস্য বদরুল আলম ও আমির উদ্দিনের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে মাতারগাঁও গ্রামের সিরাজ মিয়া রোগাক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার চাচাতো ভাই নুরুল হক গরু জবাই করে খাওয়ালে তার স্বজনদের কেউ কেউ নাখোশ হন। এ নিয়ে বুধবার এলাইছ মিয়া ও নুরুল হকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কিছু সময়ের মধ্যেই পুরো গ্রামবাসী দ্বিধা বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে ৩/৪ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়।
অপরদিকে মির্জপুর গ্রামের মোশাররফ মিয়ার ছেলে তানবির ও কদর আলীর ছেলে শাহাজ্জামানের মধ্যে মঙ্গলবার ঝগড়া হয়। এর জের ধরে বুধবার আমির উদ্দিনের ছেলে সেলিম মিয়া বাংলা বাজারে যাবার পথে প্রতিপক্ষের আক্রমণের শিকার হন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ালে ১৯ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আজি রহমান, ছদরুল আলম ও বদরুল আলমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।