সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা রানা দাশগুপ্তের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান বলেছেন, তার কথার মধ্য দিয়ে কিসের উসকানি দেয়া হচ্ছে।
শনিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর আগে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ চাওয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্তের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মজিদ খান এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
গত রোববার ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা (এবিপি) গ্রুপের মালিকানাধীন এবিপি আনন্দ লাইভের অনলাইন সংস্করণে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সংগঠনের সচিব তথা বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, মৌলবাদীরা এবং জামায়াত বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের অস্তিত্ব মুছে দিতে চাইছে। তাই তাঁরা ভারতের সাহায্য চাইছেন। ভারতের অধিকাংশ মানুষ হিন্দু। তাই তাঁরা আশা করেন, ভারত তাঁদের সাহায্য করবে। মোদির উচিত হিন্দুদের নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলা।’
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, ‘নিরাপত্তার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা। তাঁরা চাইছেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকার সঙ্গে কথা বলুক ভারত সরকার।’
সেই প্রসঙ্গে আব্দুল মজিদ খান বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ।এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। প্রস্তাবিত বাজেটে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য দুইশো কোটি টাকা বিশেষভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, লাঙ্গলবন্দের পুণ্য¯œান ঘাটের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য। কিন্তু আমি এই সেদিন দেখলাম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারি রানা দাশগুপ্ত একটি বক্তব্যে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার কথা বলেছেন। আমি জানি না, পাকিস্তান যেভাবে কথা বলে, সেই ভাষায় কেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এই নেতা সেই ভাষায় কথা বললেন।
‘তার কথায় বাংলাদেশে কিসের উসকানি দেয়া হচ্ছে। আমি জানি না। আমরা দেখেছি বিএনপির শাসনামলে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাইয়েরা দুর্গাপূজা করতে পারেন নাই। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। সাত বছরে বাংলাদেশে তারা সাচ্ছন্দে ধর্ম কর্ম করেছে।’
সংসদ সদস্যের নির্ধারিত বক্তব্যের সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে মাইক বন্ধ করে দেন ডেপুটি ¯িপকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।