স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুরে ১৪ বছরের এতিম কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় চারদিন পর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সহায়তায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ শনিবার ভোররাতে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে। গত ১৩জুন তাহিরপুরের কামালপুর গ্রামের গোরস্তানের পাশে নিয়ে ৫ ধর্ষক পালাক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের প্রয়াত দিনমজুরের ১৪ বছর বয়সী কন্যাকে একই এলাকার বিন্নাকুলি গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে কবীর হোসেন প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। গত ১৩ জুন রাতে ওই কিশোরী বাড়ি পার্শ্ববর্তী টিউবওয়েল থেকে পানি নিতে আসলে কবীর হোসেনসহ কয়েকজন বখাটে মেয়েটিকে জোরপূর্বক তোলে নিয়ে গ্রামের গোরস্তানের পাশে একটি সবজিক্ষেতে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরিবারের লোকজন গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেন। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসতে চাইলে ধর্ষকদের পরিবার বাধা দেয়। তারা ঘটনাটি শালিসে নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা চালায়। শুক্রবার বিষয়টি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুলের কানে গেলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে থানার ওসির সঙ্গে বিষয়টি আলাপ করে মামলা নেওয়ার অনুরোধ জানান। ওই রাতেই মেয়েটির চাচা তাহিরপুর থানায় কবীর হোসেন, আব্দুল হক, আয়নাল হক, মোক্তার হোসেন, আব্দুল আউয়াল, মনির মিয়া ও সুলতান মিয়াসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর শনিবার ভোররাতে তাহিরপুর থানা পুলিশ আব্দুল হক ও মোক্তার হোসেন নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। তবে ঘটনার প্রধান আসামি কবীর হোসেন এখনো পলাতক রয়েছে।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছ থেকে কিশোরী গণধর্ষণের খবর পেয়ে আমরা মামলা রেকর্ড করে আসামিদের ধরতে অভিযান চালাই। শনিবার ভোররাতে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, আমার কাছে খবর আসার পরই আমি খোঁজ নিয়ে ঘটনা সত্য বলে জানতে পারি। মেয়েটিকে দেখে মনে হয়েছে চরম নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনা জানার পরই আমি ওসিকে মামলা নেওয়ার অনুরোধ জানাই। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত সাড়া দেওয়ায় দুইজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।