সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ইউনেস্কোর ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’র তালিকায় বাংলাদেশের কারুশিল্প জামদানিও স্থান পেয়েছে। ইউনেস্কো’র উদ্যোগে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ইন্টারগভর্নমেন্ট কমিটির অষ্টম সম্মেলনে ‘জামদানি’কে ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’র তালিকাভুক্ত করা হয়। বিশ্বের ১০০টি দেশের প্রতিনিধিরা নিজ-নিজ দেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য নিয়ে এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে প্রদর্শিত পণ্যগুলোর মধ্য থেকে ইউনেস্কোর জুরিবোর্ড যে ৭টি ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’র তালিকাভুক্ত করে, তারমধ্যে জামদানি অন্যতম। রোববার রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরে জামদানি প্রদর্শনী-২০১৬ এর উদ্বোধনকালে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এ কথা জানান।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, জামদানি আমাদের সুপ্রাচীন ঐতিহ্য এবং পৃথিবীখ্যাত মসলিনের উত্তরাধিকার। এক সময় মসলিন সূক্ষèবস্ত্র হিসেবে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছিল। পৃথিবীর রাজা-বাদশা ও সুলতানগণ সমাদৃত এ বস্ত্রের চাহিদা ও কদরও ছিল। মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক এ কখা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে হাজার বছর আগেই পৃথিবীতে পরিচিত করেছিল মসলিন অর্থাৎ আজকের জামদানি। বিসিক’র উদ্যোগে ৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নারাণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো ইউনিয়নের নোয়াপাড়াতে ২০ একর জমির উপর ইতোমধ্যে জামদানি শিল্পনগরী ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করেছে।
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বলেন, জামদানি শিল্পকর্মের শুরুটা পুরোপুরি জানা না গেলেও প্রাচীন ইতিহাস এবং ঐতিহাসিক ও পর্যটকগণের সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে জানা যায় যে, ‘আমাদের ঐতিহ্যবাহী মসলিনই আজকের জামদানি’।