1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০৫:০৭ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

মাহে রমজানের আমলসমূহ

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০১৬

মাও. মুফতি আব্দুল হক আহমদী ::
মাহে রমজানের মর্যাদা অন্যান্য আমলের মর্যাদা ও ফজিলত, অন্য মাসের আমলের মর্যাদার চেয়ে অনেক বেশি। এ মাসে একটি নফল আদায় করা অন্য মাসে একটি ফরজ আদায়ের সমান এবং এ মাসে একটি ফরজ আদায় করা অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ আদালের সমান সওয়াব। সুবাহান্নাল্লাহ। তাই এখানে রমজানের কতিপয় জরুরি আমলের আলোচনা করা হল।
১. রোজা :
রমজান মাসের দিনে বিশেষ ফরজ আমল হচ্ছে সওম বা রোজা। এটি রমজানের সর্বোত্তম আমল। ‘রোজা’ ফারসি শব্দ। এর আরবি হল ‘সওম’। সওম এর আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা। আর শরিয়তের পরিভাষায় জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন মুসলমান সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ে রোজার নিয়তে পানাহার, স্ত্রী সহবাস ও রোজা ভঙ্গকারী অন্যান্য কার্যাদি থেকে বিরত থাকার নামই হল সওম বা রোজা।
ইসলামের মূল স্তম্ভসমূহের মধ্যে ঈমান, সালাত ও যাকাতের পরই হচ্ছে রোজা। আল্লাহ’তায়ালা ইরশাদ করেন, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল। যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার। সুরা বাকারা ১৮৩।
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে- তোমাদের মধ্যে যে এ মাসে (রমজান) পাবে সে যেন অবশ্যই রোজা রাখে। সুরা বাকারা ১৮৫। উক্ত আয়াতদ্বয় দ্বারা প্রমাণ হয় যে রমজানের পূর্ণ মাস রোজা রাখা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীর উপর ফরজ। ছেলে-মেয়ে সকলের উপর ১৫ বছর বয়স থেকেই রোজা রাখা ফরজ হয়ে যায়। আর যে সব ছেলে-মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৫ বছর হওয়ার পূর্বেই বালেগ হওয়ার নিদর্শন প্রকাশ পাবে তাদের উপর তখন থেকেই রোজা ফরজ হয়ে যাবে। শরিয়ত সম্মত ওজর ছাড়া একটি রোজাও যে ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিবে, সে বড় পাপী-অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে। দ্বীনের মৌলিক ফরজ লঙ্ঘনকারী এবং ঈমান ও ইসলামের ভিত্তি বিনষ্টকারীরূপে পরিগণিত হবে। আর যেসব খায়ের ও বরকত থাকে সে বঞ্চিত হবে তা আদৌ ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে- যে ব্যক্তি অসুস্থতা ও সফর ব্যতীত ইচ্ছাকৃতভাবে রমজানের একটি রোজা ছেড়ে দিবে, সে আজীবন রোজা রাখলেও ওই রোজার হক আদায় হবে না। আমাদের সমাজে অনেক সুস্থ সবল মানুষকেও অকারণে সামান্য ওজরে কিংবা স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাওয়ার কাল্পনিক আশঙ্কায় রোজা ছেড়ে দিতে দেখা যায়। তারা যে আখেরাতের কত বড় ক্ষতি নিজের উপর টেনে নিচ্ছে তা কখনো ভেবে দেখে না। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন। (চলবে)

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com