হাসান বশির ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা খাদ্যগুদামে জায়গার অভাবে ধান সংগ্রহ অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী ১৩শ ৯৯ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করবে খাদ্য বিভাগ। কিন্তু উপজেলা খাদ্যগুদামটি মাত্র ১শ ফুট বাই ৬০ফুট অর্থাৎ ৫শ মেট্রিকটন খাদ্যশষ্য ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। এছাড়া খাদ্যগুদামে সরকারি অন্যান্য চাল, গম মজুদ থাকায় জায়গার অভাবে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান সংগ্রহ সম্ভব হচ্ছে না। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২শ ৫০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানাগেছে।
আরও জানা যায়, খাদ্যগুদামের জন্য ২একর ৫শতক ভূমি অধিভুক্ত করে সরকার। ফলে অবশিষ্ট জায়গায় ৫শ মেট্রিকটন খাদ্যশষ্য ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন আরো দু’টি গুদামঘর তৈরি সম্ভব। কিন্তু খাদ্যগুদামের অতিরিক্ত গুদামঘর না থাকায় নানা রকম অসুবিধা হচ্ছে। সেই সাথে যুগ যুগ ধরে গুদামে যাতায়াত সুবিধা না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিন জানান, খাদ্যগুদামটির সাথে যুগযুগ ধরে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নৌকায় পারাপারের মাধ্যমে গুদামে যেতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে সরু রাস্তা দিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও অনেকটাই বিপজ্জনক।
রাধানগর গ্রামের কৃষক জিয়াউল তুহিন জানান, খাদ্যগুদামটি আকারে অনেক ছোট এবং সংযোগ সড়ক নেই। এছাড়া দীর্ঘ দিন যাবৎ সংস্কারবিহীন অবস্থায় রয়েছে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুলেমান তালুকদার ও ফতেপুর ইউপি’র নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রনজিত চৌধুরী রাজন বলেন, খাদ্যগুদাম হওয়ার পর থেকেই রাস্তা নেই। তাই সংযোগের জন্য ব্রিজসহ রাস্তা নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন গুদামঘর নির্মাণ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে ওসিএলএজডি কামরুল হাসান বলেন, জায়গার অভাব থাকায় ওই পরিমাণ ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে পরিমাণ মতো ধান সংগ্রহ সম্ভব না হলেও ৬০ থেকে ৭০ভাগ ধান সংগ্রহ সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। অন্যদিকে সংযোগের জন্য ব্রিজসহ রাস্তা নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন গুদামঘর নির্মাণ প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। তিনি জানান, খাদ্যগুদামের ২ একর ৫ শতক জায়গা রয়েছে। এখানে ৫শ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন আরো দু’টি গুদামঘর তৈরি সম্ভব। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান কামরুল হাসান।