দিরাই প্রতিনিধি ::
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক জরিমানাকৃত ৫০ হাজার টাকা এক বছর পর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ফেরত পেয়েছেন।
জানা যায়, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান তাঁর নামের পূর্বে কেন ‘ডাক্তার’ ব্যবহার করেন মর্মে ২০১৫ সালের ৩১ মে সুনামগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার ডা. এহসান উজ জামান খান, মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ (১) ধারায় মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এর প্রেক্ষিতে ওইদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ডা. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ (১) ধারায় অভিযোগ গঠন করে ৫০ হাজার টাকার অর্থদন্ড প্রদান এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা আদায় করা হয়। আদায়কৃত টাকা ১ জুন ২০১৫ তারিখে চালান নং-৩ মূলে সোনালী ব্যাংক সুনামগঞ্জ শাখায় সরকারি কোষাগারে জমা রাখা হয়। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান ৯ জুলাই ২০১৫ইং তারিখে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সুনামগঞ্জের আদালতে আপিল দায়ের করেন। আপিলের সময় দাখিলকৃত ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেটগুলো সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা হলে ৪ এপ্রিল ২০১৬ইং তারিখ বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় কাউন্সিল হতে সার্টিফিকেট দুটো সঠিক মর্মে আদালতকে জানানো হয়। আপিল শুনানি শেষে আদালত আদেশ প্রদান করেন যে, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে আপিল্যান্ট মহামান্য আদালতের সেই সময়ে বলবৎ কোন আদেশ না দেখানোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত আদেশ প্রদান করেন। পরে আপিল শুনানিতে মহামান্য আদালতের আদেশ দাখিল করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালীন সময় মহামান্য আদালতের আদেশে আপিল্যান্ট নামের আগে ‘ডাক্তার’ শব্দটি ব্যবহার করায় আপিল্যান্ট আইনের ব্যত্যয় ঘটাননি।
তাই আপিল্যান্টকে দন্ডকৃত অর্থ ফেরত দেয়ার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে আবেদন করতে বলা হয়। আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ডা. মিজানুর রহমান সুনামগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে আবেদন করলে ৫০ হাজার টাকা তাকে ফেরত দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ডা. মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল হতে এমবিবিএস, বিডিএস এবং ডিএমএফ যারা নিবন্ধিত চিকিৎসক তারা নামের পূর্বে ‘ডাক্তার’ (ডা.) ব্যবহার করতে পারেন। ডা. এহসান উজ জামান খান ভ্রাম্যমাণ আদালতকে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। আমার প্রতি ন্যায় বিচার করায় আমি আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ।