সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, উচ্চশিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে সাধারণ-বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৩২টি। এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৩৭টি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৯৫টি।
সংসদে প্রশ্নোত্তরে বুধবার সফুরা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান।
বেগম হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা না থাকলে গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতির ধারা বজায় রাখার জন্য দেশের সকল উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্র রাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রযেছে। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৭১-এর স্বাধীনতা অর্জন, পরবর্তীতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় অর্জনে দেশের সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক। দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অতীতে যেমন ছাত্র সংসদ কার্যকর ছিল, তেমনি বর্তমানেও বেশ কিছু সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ রয়েছে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, কোনো শিক্ষক ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেছেন এ ধরনের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি নির্যাতনমূলক সেলে, অনুষদে, বিভাগে, রেজিস্ট্রার অফিসে অথবা ভিসির অফিসে পাওয়া গেলে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ঘটনার জন্য তদন্ত কমিটি করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ড অথবা সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করা হয়। প্রমাণিত অভিযোগের ক্ষেত্রে অপরাধী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপরাধের গুরুত্ব ভেবে চাকরিচ্যুতসহ অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে শাস্তি প্রদান করা হয়।
মন্ত্রী আরোও জানান, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি করে যৌন হয়রানি নিযার্তন সেল স্থাপন করা হয়েছে। এসব সেল কাজ করছে বিধায় বিশেষ কমিটি গঠন করার প্রয়োজন নেই।