সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের যে পাঁচ লাখ শ্রমিক নেওয়ার কথা ছিল, তা এ বছর থেকেই শুরু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটির সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সফরে এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সৌদি আরব। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সচিব বলেন, সৌদি আরবে প্রবাসীরা ‘আকামা’ নিয়ে যাওয়ার পর তারা যে কো¤পানি কিংবা যে ব্যক্তির অধীনে গেছেন তার বাইরে চাকরি করতে পারতেন না। এখন থেকে আকামা নিয়ে প্রবাসীরা চাহিদা মতো যে কোনো স্থানে চাকরি করতে পারবেন। এছাড়া নারী কর্মীরা তাদের বাবা, ভাই বা স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন।
সূত্র জানায়, আইন অনুযায়ী এখন আর কেউ নিবন্ধন ছাড়া বিদেশে যেতে পারবেন না। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হয়। বিএমইটির আওতায় সারা দেশের ৪২টি জেলায় কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয় রয়েছে। যার যে জেলায় বাড়ি, তিনি সেই জেলার কার্যালয়ে গিয়ে এই নিবন্ধন করতে পারবেন।
দীর্ঘ সাত বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে সৌদি আরব। ফলে বিপুলসংখ্যক কর্মী যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। তবে প্রাথমিকভাবে গৃহ খাতে কর্মী যাবে। এরপর ধীরে ধীরে নির্মাণ, সেবাসহ অন্যান্য খাতে কর্মী যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
এর আগে মালয়েশিয়ায় সরকারিভাবে (জিটুজি) কর্মী গিয়েছিল। কিন্তু সরকারি ব্যবস্থাপনার কারণে সেখানে খুব বেশি কর্মী যেতে পারেনি। আর এবার সৌদি আরবে সরকারিভাবে নয়, বেসরকারিভাবেই কর্মী যাবে। তবে পুরো ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার।