সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে অসহিষ্ণুতা ও একই দলে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার কারণে কোথাও কোথাও ‘বিচ্ছিন্ন’ কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংসদ কার্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, “দেশের চার হাজার ১০৪টি ইউনিয়নে অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণভাবে ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রতিটি উপজেলায় নির্বাচনী শিডিউল ঘোষণার পর থেকেই ১ জুন পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিটি উপজেলায় ভোটগ্রহণের আগের দুই দিন ও ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের দিন অর্থাৎ মোট চার দিন আরো তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন জুডিশিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও আচরণবিধি প্রতিপালনের লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।”
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, “প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ২০ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২১ জন সশস্ত্র ও লাঠিধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় আরো একটি সভা করে তাদের অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।”
মন্ত্রী জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও কমিশন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছেন এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন। নির্বাচনে যাতে নারী ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী নির্বিঘেœ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সে জন্য নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তাদের নিরাপত্তার বিষয়েও বিশেষ নজর রাখা হয়েছে।