সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরকে (বিএনসিসি) আইনি কাঠামো দেওয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে একটি অধিদফতর গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর আইন, ২০১৬’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
জাতীয় সংসদ ভবনে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিং করেন সচিবালয়ে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিএনসিসির কোনো আইনি কাঠামো নেই। একটি সার্কুলারের মাধ্যমে এটি দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। আইনি কাঠামো দিতে নতুন আইনটি করা হয়েছে।’
আইন অনুযায়ী, বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীরা সিনিয়র ও জুনিয়র ডিভিশনে বিএনসিসির সদস্য হতে পারবে বলেও জানান শফিউল আলম।
তিনি আরও বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর অধিদফতর নামে একটি প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে। মহাপরিচালক হবেন অধিদফতরের প্রধান। এটি (অধিদফতর) থাকবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায়, এর হেড অফিস হবে ঢাকায়।’
আইনে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটির প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ কমিটির প্রধান হবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব। কমিটিতে প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, অর্থ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সেনা সদর, নৌসদর, বিমান সদর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি থাকবেন।’
বিএনসিসির মহাপরিচালক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সচিব হবেন বলেও জানান তিনি।
শফিউল আলম বলেন, ‘ক্যাডেট তালিকাভুক্তির বিষয়ে আইনে বলা হয়েছে, নির্ধারিত যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে এসএসসি বা তদূর্ধ্ব বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতাস¤পন্ন যেকোনো শিক্ষার্থী সিনিয়র ডিভিশনের ক্যাডেট হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে পারবেন।’
‘এ ছাড়া অনূর্ধ্ব (সর্বোচ্চ) এসএসসি বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতাস¤পন্ন যেকোনো শিক্ষার্থী জুনিয়র ডিভিশনের ক্যাডেট হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে পারবে’ বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এর আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
বিএনসিসি তরুণ ছাত্রছাত্রীদের নৈতিক উন্নয়ন ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে এ সংগঠন রয়েছে। ১৯২৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়।