গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠের শীর্ষশিরোনাম ছিলÑ “কমিটিতে স্থান পাবেন সংকটকালের ত্যাগীরা”। বলা হয়েছেÑ “সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আসন্ন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাঁদের বিশেষ বিবেচনা করা হবে।” বলাবাহুল্য এই কমিটিতে সৎ, ত্যাগী, নিবেদিতপ্রাণ ও নির্লোভ নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে কমিটির সদস্য নির্বাচনের প্রকল্পটি হবে এমন যে, যাকে বলা যাবে “নবীনদের নিয়ে প্রাবীণদের সমন্বয়”। সুনির্দিষ্ট কতিপয় নীতির ভিত্তিতে এই কমিটি গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যাঁরা পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে ও এক-এগারোর বিপর্যয়ে দলের সঙ্গে বেঈমানি করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাসী, তাঁরা এই কমিটিতে স্থান পাবেন না, বরং যাঁরা জামায়াত-বিএনপিসহ দেশি-বিদেশিদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে তৎপর ছিলেন, তারাই কেবল এই কমিটিতে পদাধিকার পাবেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে একটি ঐতিহাসিক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই মুহূর্তে চাই দেশ ও জাতির জন্য যোগ্য নেতৃত্ব। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের “কান্ডারী হুঁশিয়ার” কবিতার কর্ণধারকে চাই দেশের নেতৃত্বে। যাঁর বা যে রাজনীতিক দলের যোগ্য নেতৃত্বের কল্যাণে দেশ উদ্ধার পাবে বিপর্যয় থেকে, এগিয়ে যাবে প্রগতির পথে, সাম্য আর শান্তির পথে, সকল ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে ভ্রাতৃত্বের দিকে। জনপ্রত্যাশা এই যে, অদূর ভবিষ্যতে গঠিতব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুনামগঞ্জ জেলা কমিটি হবে এমনি একটি রাজনীতিক বৈশিষ্ট্যমন্ডিত সংগঠন। যে সংগঠন বা কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে উৎকীর্ণ চার মূলনীতির পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিতকরণ, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অগ্রগামী ভূমিকা রাখবে। চূড়ান্ত অর্থে যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিক অভীষ্ট।
ৃ