সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
হলমার্ক কেলেঙ্কারির অন্যতম আসামি ও সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের সাময়িক বরখাস্তকৃত মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ননী গোপাল নাথের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নির্ধারিত সময়ে কমিশনে স¤পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হবে।
রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয় কমিশন। শিগগিরই দুদকের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিচারিক আদালতে চার্জশিটটি দখিল করবেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, ২০১২ সালে হলমার্ক কেলেঙ্কারি অনুসন্ধান শুরুর সময় সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন জিএম ননী গোপাল নাথের বিরুদ্ধে স¤পদের অনুসন্ধান শুরু করে কমিশন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স¤পদের প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৩ সালের ০১ এপ্রিল তাকে স¤পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ করে কমিশন।
কিন্তু ওই সময় তাকে বর্তমান ও অফিস ঠিকানায় না পাওয়ায় চট্টগ্রাম-২ এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে গত বছরের ০২ সেপ্টেম্বর তার গ্রামের ঠিকানায় আপন ছোটভাই শিমুল দেবনাথ ও একই এলাকার রঞ্জিত নাথের কাছে তা পাঠিয়ে স¤পদের নোটিশ জারি করা হয় এবং সেই নোটিশ দেয়ালে টাঙিয়ে দেয়া হয়।
নোটিশে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তার ও তার ওপর নির্ভরশীলদের স্থাবর-অস্থাবর যাবতীয় স¤পদের হিসাব দিতে বলা হয়। পরে একই বছরের ১৫ নভেম্বর নোটিশ পেয়েছে মর্মে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জানায় দুদকের চট্টগ্রাম শাখা।
সূত্রটি আরো জানায়, ননী গোপাল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিশনে তার স¤পদ বিবরণী দাখিল করেননি। এমনকি স¤পদ বিবরণী দাখিলের সময়ের জন্যও আবেদন করেননি। আর নির্ধারিত সময়ে স¤পদের হিসাব কমিশনে দাখিল না করায় দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬(২)(ক) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে প্রমাণিত হওয়ায় গত ৩১ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে কমিশন। মামলার তদন্ত শেষে বিষয়টি চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে আসামি করে একটি চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয় কমিশন।
উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংকের সাময়িক বরখাম্দকৃত জিএম ননী গোপাল নাথ চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানার মিঠাছড়া গ্রামের জগেন্দ্র কুমার নাথের ছেলে। ঢাকার ১২/২, কে.এম.দাস লেন, টিকাটুলি তার বর্তমান ঠিকানা। তিনি হলামার্ক কেলেঙ্কারিতে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলার চার্জশিটভুক্ত অন্যতম আসামি। আর এই অপরাধে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।